রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ১নং দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কুশাহাটা গ্রাম। গ্রামটি পদ্মার ভাঙ্গনে একাংশে এখন ১শ পরিবারের বসবাস। বছরের প্রায় অর্ধেকের বেশি মাস চারপাশে পানিতে বেষ্টিত থাকে গ্রামটির। তবে বাকি মাসগুলোতে বাড়ির চারপাশের পানি কিছুটা সরে গেলেই চোখে পরে গো-খাদ্যের বিশালাকার চারণভূমি। চারণভূমিতে ইচ্ছে মতো বিচরণ করে বিভিন্ন গবাদি পশু। এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হলো নদীপথ। তবে শুকনা মৌসুমে কিছুটা পথে ঘোড়ার গাড়ীও চলাচল করে থাকে। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ফসল চাষের পাশাপাশি মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কুশাহাটা গ্রামের ফসলের মাঠ বেশিরভাগ সময় পানিতে ঢাকা থাকে বলে এখানে যাতায়াতে রয়েছে নিয়মকানুন। এলাকার মানুষ শহরে আসা-যাওয়ায় যন্ত্রে চালিত নৌকা বা ট্রলার ব্যবহার করে থাকে। ট্রলার চলাচলে রয়েছে বাধা ধরা নিয়ম ও সময়। গ্রাম থেকে শহরে আসার জন্য সকাল ৮ টায় ট্রলার ছেড়ে কেউবা যায় আরিচা, কেউবা যায় পাটুরিয়া আবার কেউবা যায় দৌলতদিয়া ঘাট। ট্রলারের মাঝিরা আবার সবগুলো জায়গা থেকে বিকেল ৫ টায় ট্রলার ছেড়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এসময়ের মধ্যে কাজ সেরে সকলকে উপস্থিত হতে হয়। কেউ যদি এসময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে না পারে তাহলে সেদিন আর তার ঘরে ফেরা হয় না। আত্মীয়ের বাড়ি রাত্রি যাপন করে পরের দিন সকাল ৮ টার মধ্যে ঘাটে উপস্থিত হতে হয়।
কুশাহাটা এলাকায় গবাদী পশুর খাবারের অভাব হয় না। ফসলের মাঠ জুড়ে শুধু ঘাস আর ঘাস। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে গবাদি পশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন অনেক মানুষ নদী পাড়ি দিয়ে কুশাহাটা চরে চলে যায় দল বেধে। গো-খাদ্য নিয়ে চলে আসে কুশাহাটা চর থেকে। কেউবা গো-খাদ্য সংগ্রহ করে, সংসার চালানোর জন্য বিক্রি করে থাকে।
কুশাহাটা চরাঞ্চলে পশুর খাবারের অভাব নেই বলে ওই এলাকার প্রায় মানুষ গরু,ঘোড়া, মহিষ, ছাগল পালন করে থাকে।