রাজবাড়ী জেলার পাংশা শহরে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালকরা। শনিবার সাড়ে ১১টার সময় পাংশা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সমবেত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করে ইজিবাইক চালকরা। মানববন্ধন শেষে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পাংশা শহরের কালিবাড়ি তিন রাস্তা মোড়ে পৌছে কর্মসূচি শেষ করে তারা। ইজবাইক চালক আব্দুল লতিফ, রবিউল ইসলাম ও আব্দুল আলিম বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আমরা যখন গাড়ি নিয়ে পাংশা পৌর শহরের মধ্যে প্রবেশ করি তখন পৌরসভার টোল ও পার্কিং ফি বাবদ স্লিপের মাধ্যমে ২০টাকা নেওয়া হয়। দিনে রাতে যতবারই পৌরসভার মধ্যে শহরে প্রবেশ করি তারা একবারই স্লিপের মাধ্যমে টাকা নেয়। দ্বিতীয়বার কোন টাকা নেয় না পৌরসভার ইজারাদারের লোকজন। কিন্তু শহরের সাদী প্লাজা ও স্টেশন রোড থেকে বাগদুলী বাজার, মৃগী বাজার সড়কে এবং পাট্টা, কসবামাজাইল, নাদুরিয়া, লাঙ্গলবাধ সড়কে এছাড়া দত্ত মার্কেট মোড় থেকে যশাই, হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, সেনগ্রাম কালিতলা বাজার এবং চরআফড়া স্লুইজ গেট বাজার সড়কে প্রতিটি সিরিয়ালের জন্য আরিফ, লিয়াকত ও শরিফ নামের ৩জন অবৈধভাবে ২০টাকা করে চাঁদা কালেকশন করে। গাড়ি পার্কিং বাবদ টোল ফি হিসেবে ইজারাদারের ২০ টাকা করে ফি দিলেও পাংশা শহরে ইজিবাইকের জন্য পার্কিং প্লেস করে নাই পৌর কর্তৃপক্ষ। আমরা সাদী প্লাজা, স্টেশন রোড, দত্ত মার্কেটের সামনে থেকে পৌরসভা কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে নিজেরা সিরিয়ালের মাধ্যমে ইজিবাইক চালাই। গাড়ি সিরিয়ালে দিলেই চাঁদা নেওয়ার লোকদের মধ্যে আরিফ, লিয়াকত ও শরিফ এসে ২০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে যায়। চাঁদাবাজি বন্ধে শুক্রবার প্রথম মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হলে তারা চাঁদা নেওয়া বন্ধ করে নাই। বরং ইজিবাইক চালকদের হুমকি দিয়েছে। সে কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করে ইজিবাইক চলাচলের জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ইজিবাইক চালকরা। ইজিবাইক চালক ইউনিয়নের ব্যানারে শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।