পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে নদী ভাঙনের কারণে ১,২, ৩ ও ৫ নং ঘাট চারটি আগে থেকেই বন্ধ হয়ে আছে। তীব্র স্রোতের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ হয়ে আছে ৬ নং ঘাটটি। এমতাবস্থায় মাত্র ৪ ও ৭ নং ঘাট দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আবার ৪ নং ঘাটে তীব্র স্রোতের কারণে সব সময় এবং সব ধরনের ফেরি ভিড়তে পারে না। এতে করে ঘাট সংকটে নদী পার হতে আসা যানবানের দীর্ঘ সারি দেখা দিয়েছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার মহাসড়কে। মহাসড়কে আটকা পড়েছে পন্যবোঝাই দুই শতাধিক ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। আটকে পড়া যানবাহনের চালক ও সহকারিরা প্রচন্ড ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্টে থেকে ক্যানাল ঘাট এলাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার বাস এবং অন্যান্য জরুরি যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করায় পন্যবাহী যানবাহনগুলো এভাবে আটকা পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বেনাপোল হতে গাজীপুরের কোনাবাড়ীগামী কেমিক্যাল বোঝাই কাভারভ্যান চালক স্বপন রেজা জানান, মালিক আমাদের বাড়তি পথ খরচ দেয় না। তাই ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটেই পড়ে থাকতে হচ্ছে। তানা হলে পদ্মা কিংবা যমুনা সেতু ঘুরে গেলে এতক্ষনে গন্তব্যে পৌঁছে যেতাম।
মোংলা হতে মানিকগঞ্জগামী গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই চালক মো. রিপন মিয়া জানান, ভোর ৫ টার দিকে ঘাটে এসে তিনি সিরিয়ালে আটকা পড়েন। দীর্ঘ সময় আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছি।
ফেরি সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে নদী পার হতেপ্রায় দ্বিগুন সময় লাগছে। তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরি চালাতে গিয়ে ফেরির ইঞ্জিল বিকল হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো.সালাউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমানে ৪ ও ৭ নাম্বার ফেরিঘাট দুটো চালু রয়েছে। ৩ নাম্বার ফেরিঘাটের পন্টুনের পকেট মেরামত করে চালু করার চেষ্টা চলছে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে বাড়তি সময় লাগছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মোট ৮ টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীবাহী, কাঁচামাল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করায় ঘাট এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আটকা পড়েছে।