গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তেল সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যম্বুলেন্স সেবা চালুর দায়িত্ব নিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মোস্তফা মুন্সি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আলাপকালে হাসপাতাল ব্যাবস্হাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার। অ্যম্বুলেন্স সেবা এর মধ্যে অন্যতম। শুধুমাত্র তেল সংকটের কারণে অ্যম্বুলেন্স বন্ধ থাকবে এটা হতে পারে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারণে জনস্বার্থে আমি ব্যাক্তিগত অর্থায়নে এ সার্ভিস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত ব্যাবস্থাপনায় চালু থাকা অপর অ্যম্বুলেন্সটিও যথারীতি চলবে। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তেলের বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যম্বুলেন্স সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে এলাকার সাধারণ রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ নোটিশ আকারে এ্যাম্বুলেন্স সেবা সাময়িকভাবে বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য বাৎসরিক প্রায় ১০ বছর আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরে তেলের দাম কয়েকগুন বাড়লেও এ খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। বাৎসরিক এখানে চাহিদা অন্তত ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা। ফিলিং স্টেশনে ধীরে ধীরে বকেয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক জানান, গত অর্থ বছর পর্যন্ত ফিলিং ষ্টেশনে তেল বাবদ প্রায় ৯ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ লক্ষাধিক টাকার অধিক বকেয়া পরিশোধ করি। এখনো ৫ লক্ষাধিক টাকা বকেয়া রয়েছে। আগামি জুনের আগে নতুন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এ অবস্হায় ফিলিং ষ্টেশন কতৃপক্ষের চাপে এবং বকেয়ার পরিমাণ আর না বাড়াতে আমরা বাধ্য হয়ে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এগিয়ে আসায় সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়েছে। আগামি জুন মাসের বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ব্যাক্তিগতভাবে হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্স চালু রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন।