দেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব রক্ষার্থে পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। শুক্রবার রাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আফতাব হোসেন।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালকের নির্দেশে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ উপকূলের দিকে প্রবল বেগে এগিয়ে আসতে থাকায় এবং এর তীব্রতা বাড়তে থাকায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার পর এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে পুনরায় লঞ্চগুলো চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা এখনো ফেরি বন্ধের কোন নির্দেশনা পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে আমরা যেকোনো মুহুর্তে ফেরি বন্ধ করে দিবো। বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট-বড় ১৮টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জরুরি আদেশ উপেক্ষা করেই পদ্মায় ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করছে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও স্পিডবোট। এতে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ওসি জেএম সিরাজুল কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে দৌলতদিয়া ঘাটের নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও নদীতে প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কতৃপক্ষ। অপরদিকে ছোট নৌযান, নৌকা ও জেলেদের নিরাপদে থাকার জন্য সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. জাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো বিপদ সংকেতের আওতায় না এলেও প্রশাসনের পক্ষ হতে সব ধরনের প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছি। মানুষকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া মৎসজীবীসহ নদী তীরবর্তী মানুষদের সাবধানে চলাচল ও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আহবান ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।