রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির নিশ্চিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে দশম শ্রেণীর ২২ জন ছাত্রকে অমানবিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শ্রেণিকক্ষের দরজা আটকে বেত দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত জখম করেন শিক্ষক জুলফিকার আলী। জুলফিকার আলী পাংশা পৌর শহরের কুড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কান্না কন্ঠে অভিযোগ করে জানায়, অতিরিক্ত গড়মের মধ্যে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শব্দ করে। এ অপরাধে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে বেত দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালান। এতে করে ২২ জন শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আহত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা একজোট হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর কাছে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষক জুলফিকার আলীর এমন অমানবিক কাজের বর্ণনা করেন।
শিক্ষার্থী রাহুল জানায়, ক্লাস চলাকালীন সময়ে হটাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন আমাদের মধ্যে কয়েকজন উচ্চ স্বরে চিৎকার করলে স্যার এসে আমাদের সবাইকে বেত দিয়ে আঘাত করে।
বুধবার সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়রি। বিদ্যালয়ের অন্যন্য শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওয়াহাব মন্ডল আমাদের বলেছেন যে, যেই আসুক আপনারা কথা না বলে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ঢাকা আছেন জানিয়ে বলেন, ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি। ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের সভাপতি সবাইকে নিয়ে বসে একটা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে বলেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওয়াহাব মন্ডল বলেন, উনি কাজটা অন্যায় করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিকেলে তার সাথে দেখা করে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া পেলে তিনি সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।