রাজবাড়ীর পাংশায় মায়ের সাথে অভিমান করে কাইদ আলী নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের পালেরডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে একই গ্রামের আকেদ আলী মন্ডলের ছেলে ও স্থানীয় সাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার কাইদ তার বাবার ভ্যান নিয়ে বের হয়েছিল। রাস্তায় পড়ে গিয়ে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরলে তার মা তাকে গালমন্দ করে। রাত ৯টার দিকে বাড়ির লোকজন বাইরে গেলে সে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাংশা মডেল থানার এস্আই আল মামুন জানান, সোমবার নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অপরদিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ি গ্রামে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে উর্মিলা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। সে একই গ্রামের শহিদুল শেখের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উর্মিলা খাতুনের প্রথম স্বামী তাকে তালাক দেওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। গত ১ মে তারিখে পারিবারিকভাবে শহিদুল ইসলামের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
উর্মিলা খাতুনের বাবা জাহিদ শেখ জানান, তার মেয়ের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলনা। কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না।
বালিয়াকান্দি থানা সূত্র জানায়, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।