বাজারে ভিড়। বিক্রেতারা ব্যস্ত কেনাবেচায়। সকাল থেকে রাত অব্দি চলছে কেনাকাটা। তবুও সন্তুষ্টির তৃপ্তি নেই কারো মুখে। বিক্রেতারা বলছেন, দামাদামি করে ক্রেতা চলে যাচ্ছেন। আর ক্রেতারা বলছেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে দাম অত্যধিক বেশি। হাজার থেকে ১২শ টাকা দরের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। এতো সবের মধ্যে নতুন আসা থ্রিপিচ নায়রার চাহিদা রয়েছে বেশ। এই হলো রাজবাড়ীর ঈদ বাজারের অবস্থা।
রাজবাড়ীর কাদেরিয়া সুপারে মার্কেট, জলিল খান সুপার মার্কেট, মনাক্কা টাওয়ারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গাতেই ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দ করছেন, দামাদামি করছেন। মিলে গেলে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। জানা গেছে, এবার তরুণীদের পোশাকের বিশেষ আকর্ষণ ‘নায়রা’। পোশাকটির চাহিদা রয়েছে বেশ। দুই হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকটি। এছাড়া ভারতীয় ও পাকিস্তানী বিভিন্ন পোশাকও বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দামের শাড়ী বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। দুই থেকে চার হাজার টাকা দামের পোশাক তুলনামূলক এবার কম বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ হাজার টাকার উপরে দাম এমন পোশাক খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। তবে, সামনে আরও সময় আছে। বিক্রি বাড়বে বলে আশা তাদের। গরমের দিন হওয়ায় সূতির কাপড়ের চাহিদা এবার খুব বেশি।
রাজবাড়ী বস্ত্র বিতানের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম জানান, বেচাকেনা ভালো। ক্রেতারা দামাদামি একটু বেশি করছে। গরমের মধ্যে সূতি কাপড়টাই বেশি চলছে। মেয়েদের নায়রা নামে একটি পোশাক এসেছে। রয়েছে অর্গান থ্রিপিচ। এটির দাম ১৭শ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা। এসবের চাহিদা বেশি। শাড়ীর মধ্যে মণিপুরী, টাঙ্গাইল, সিল্ক আইটেম বেশি বিক্রি হচ্ছে। জয়পুর সূতি কাপড়ের দাম সাতশ থেকে এক হাজার টাকা। একারণে এটি মানুষ বেশি কিনছে। শাড়ী আগে যেসব ছিল সেসবদই চলছে। তবে, দাম বেড়েছে সব পোশাকের।
শান্তি প্লাজার নারী উদ্যোক্তা শীলা জানান, ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা ভালো। সিল্ক, সিনথেটিকের চেয়ে সূতির কাপড়ের চাহিদা এবার খুব বেশি।
রিমঝিম বুটিক হাউসের মালিক রাজীব জানান, বেচাকেনা মোটামুটি। তবে দরদাম খুব বেশি করছে কাস্টমার।
সালমান কসমেটিকস এর মালিক সালমান হোসেন জানান, প্রতিটি জিনিসের দাম শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বেড়ে গেছে। গত বছর যে লিটস্টিক ৪০ টাকায় তারা বিক্রি করেছিলেন, সেই লিপস্টিক এবার পাইকারী কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা করে। তারপরও বেচাকেনা সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে।
বেচাকেনা আছে সূতার দোকানেও। হক সূতা ঘরের মালিক হৃদয় খান জানান, ঈদে সূতা, বকরম সবই প্রয়োজনীয়। এজন্য তারা এখন বেচাকেনায় ব্যস্ত। খুব ভালো বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী শহরের বাসিন্দা নুরতাজ বেগম জানান, সব জিনিসের দাম বেশি। ছেলে-মেয়েজ ও তার নিজের জন্য পেশাক কিনতে এসেছিলেন। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরেছেন। যেটা পছন্দ করছেন সেটার দামই আকাশ ছোঁয়া। দামটা কম হলে সবার জন্যই ভালো হয়।