রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জৈনদ্দিন সরদার পাড়া এলাকায় প্রবহমান সরকারি খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ওই এলাকার খালপাড়ের বসতবাড়ী, ভিটেমাটি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে সেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে আশপাশের পাড় ভেঙে পড়ছে। এ সময় ড্রেজার মেশিন বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নানা ধরনের শ্লোগান গান দিতে থাকেন। স্থানীয় মো. হাসেম মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদসহ কয়েকজন জানান, শুকনো মৌসুমে এই খালের জমিতে তারা বোরো ধান,সরিষাসহ নানা ধরনের কৃষি ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু ৩০/৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার ফলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বসতভিটা, বাড়িঘর ও ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আনোয়ারা বেগম, আকলিমা খাতুন, সাহেরা খাতুন সহ কয়েকজন মহিলা বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালে পানি থাকে না। এখন বাড়ির পাশে এত গভীর করে বালু তোলা হলে তাদের শিশুদের এই গভীর পানিতে পড়ে প্রানহানির আশংকা রয়েছে। অভিযুক্ত ইসমাইল খা মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন না। পাশেই তার নিজের জমি রয়েছে। সেখান হতে বালু তুলছেন। এতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি।