রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চেয়ারে বসে এক ঘণ্টার জন্য প্রতীকী ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তার (১৫)।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল চাইল্ড টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সহযোগিতায় স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস) এ কার্যক্রমের আয়োজন করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ফারজানা গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার গালর্স হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও ন্যাশনাল চাইল্ড টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সহ-সভাপতি। সে দৌলতদিয়া সামছু মাষ্টার পাড়ার রবিন শেখ ও সখিনা বেগম দম্পতির সন্তান। তার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী। ৪ বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সে সেজো। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিশু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
দায়িত্ব পালনকালে ফারজানা বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ, ইভটিজিং, কোভিড-১৯ সচেতনতা ও মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সংশ্লিষ্টদের দিক নির্দেশনা দেন। ফারজানা আক্তার বলেন, আমার জন্য এই ধরনের অভিজ্ঞতা নতুন। এক ঘন্টার প্রতীকী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি। সমাজের নেতৃস্থানীয় জায়গাগুলোতে মেয়েদের অংশগ্রহণের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করছি। ভালো করে পড়াশোনা করে দেশের সেবা করা এমন কিছু কাজের সাথে যুক্ত হতে চাই এবং আমি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে এবং নারী বান্ধব উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলবো এবং নারীর উন্নয়নে ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কাজ করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্ম ও নারীরাই একদিন দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। তাই শিশুদের ছোট হতেই দেশের জন্য প্রস্তুত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেকেএস প্রদীপ প্রকল্পের কর্মকর্তা রুমা খাতুন, কেকেএস কর্মী মন্জুরুল ইসলাম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ওয়াই মুভস্ প্রকল্প কর্মকর্তা পথিক পাল প্রমুখ।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন ফারজানা আক্তারকে একটি বই ও ক্রেস্ট উপহার দেন।