রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূর নাম সুমিতা আক্তার (২৫)। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি গ্রামের দরিদ্র কৃষক সাইদ সরদারের মেয়ে। ৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার।
অভিযুক্ত স্বামীর নাম মামুন সরদার। সে একই ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপঁচা নতুনপাড়ার রাজ্জাক সরদারের ছেলে।
ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবরসহ পরিবারের সকল সদস্য বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বাবা সাঈদ সরদার অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার মেয়েকে জামাই মামুন গলাটিপে হত্যা করার পর গলায় রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে সে বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে শ্বশুর রাজ্জাক সরদার ও দেবর বাদল তার মেয়েকে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে তারাও লাশ রেখে পালিয়ে যায় এবং আমাকে ফোন করে ওর (সুমিতা)অসুস্থতার কথা জানায়।
তিনি আরও বলেন, মামুন একজন মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবী। সে ইতিপূর্বে ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। সে মামলায় সে জামিনে রয়েছে। নেশার টাকার জন্য সে আমার ও আমার মেয়ের উপর নানাভাবে চাপ দিত। প্রতিবাদ করলে মেয়েকে অনেক মারধর করতো। এ নিয়ে অনেকবার এলাকায় বিচার- শালিস হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, তারা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়েছে। গৃহবধুর বাবা সাইদ সরদার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত কারন জানা যাবে।