গোয়ালন্দে আজ থেকে অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে মাটি-বালু উত্তোলন ও পরিবহন করতে দেয়া হবে না। যারা এ কাজে সংযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে করে হয় আমি এখানে (গোয়ালন্দ) থাকবো, না হয় ওরা থাকবে। গত রবিবার বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে গোয়ালন্দ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় মাটি খেকোদের উদ্দেশ্যে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এ কঠোর হুশিয়ারি দেন।
সভায় ইউএনও বলেন, কয়েকদিন আগে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটে অবৈধভাবে বালু বহনকৃত একটি ট্রাকের চাপায় একজন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে তৎক্ষনাৎ বালু উত্তোলনকৃত ভেকু ও জনতার দেয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া ট্রাক জব্দ করেছি। তাছাড়া রাতের আঁধারে লুকিয়ে লুকিয়ে যারা ভেকু দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে মহাসড়ক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধেও মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। কিন্তু আমি ঘুমিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে ওরা বালি ও মাটি উত্তোলন করে। এ নিয়ে অভিযোগ আছে।
সভায় সম্প্রতি চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়া, মারামারি, সরকারী জায়গার অবৈধ দখল, মাদকের অবাধ বিক্রি ও সেবন, বিভিন্ন ফার্মেসী ও মুদি দোকানে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি, যৌনপল্লীর সামনে সড়কে অবাধে যৌনকর্মীদের ঘোরাফেরা বন্ধ, বাজার মনিটরিং, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চলাচল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আনছার ক্লাবে তাস ও জুয়া খেলাসহ উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন রনি, গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. আজিজ, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, ছোট ভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবুল হোসেন, সাবেক সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম শেখ প্রমূখ।