ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখি হচ্ছে কর্মজীবীরা। দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ছেড়ে এখন প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ির পথে। দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের স্রোত রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘরমুখি যাত্রীর স্রোত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দৌলতদিয়া ঘাটে অসংখ্য যানবাহন থাকায় ঘরমুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। সহজে গন্তব্যস্থানে যেতে পারছে। এমনি চিত্র দেখা যায় দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে অসংখ্য নারী-পুরুষ আসছে। এসকল যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাট থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। দৌলতদিয়া ঘাটে দূরপাল্লা এবং স্থানীয় অসংখ্য বিভিন্ন প্রকার যানবাহন থাকায় দুর্ভোগ মুক্ত হয়ে ঘরমুখি হতে পারছে যাত্রীরা।
এসময় যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ড এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছে বুলবুল নামের এক স্কুল শিক্ষক। তিনি জানান, কোন বছর ঈদে এত সুন্দর ভাবে যেতে পারিনি। এবার ভাড়া একটু বেশি লাগলেও সহজে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। লঞ্চেও কোন সমস্যা হয়নি। তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক সময়ে রাস্তায় অনেক যানজট থাকে। এবার অসংখ্য গাড়ী থাকলেও যানজট নেই।
রেহেনা সুলতানা (৪০) নামের এক যাত্রী জানান, রাস্তায় কোন যানজট পায়নি। অনেক সহজে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তবে, প্রচন্ড গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গরমের মধ্যে বাচ্চা নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, বিগত বছরগুলো চেয়ে এবার অনেক আরামে যাত্রীরা বাড়ীতে যেতে পারছে। রাস্তায় ও লঞ্চ ঘাটে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তিনি আরও জানান, ঘরমুখি যাত্রীদের সুন্দর ভাবে দৌলতদিয়া-পাটুরয়া নৌরুটে নদী পারাপার করার জন্য ১৭টি লঞ্চ স্বার্বক্ষনিক ভাবে পারাপার করা হচ্ছে। রাতে আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সেই লঞ্চগুলো রাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চালানো হয় যাত্রীদের সুবিধার্থে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার শাহ আলম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় লঞ্চ ঘাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে যেন কোন লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে। ঈদের আগে ঘরমুখি এবং ঈদ শেেেষ কর্মমুখি যাত্রীরা সহজে নদী পারাপার হতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, এই নৌরুটে ২১টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করার জন্য। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের সহযোগিতা করতে হবে উভয় ঘাট যানজট মুক্ত রাখার জন্য।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সুস্থ্য ভাবে যেন ঘরমুখি যাত্রীরা যেতে পারে সেজন্য পুলিশ সব সময় দায়িত্ব পালন করছে। তবে সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সুন্দর পরিবেশে গন্তব্য স্থানে যেতে পারছে।