সরকার সারাদেশে কৃষি যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করছে। তবে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কৃষকরা সেই ভর্তুকি সবটুকু ভোগ করতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রতিকার চেয়ে কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের ভর্তুকি মূল্যের ছেয়ে ২৮ হাজার টাকা অধিক মূল্য দিয়ে সিডারসহ পাওয়ার টিলার কিনতে হচ্ছে। যা দরিদ্র কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য।
কৃষকরা জানান, বাজার মূল্যের চেয়ে ২৮ হাজার টাকা দাম বেশি ধরায় আমরা প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্নিমা হালদার আমাদের কোন কথা শুনছেন না। তিনি অনুমোদিত ডিলার ছাড়া সিডারসহ পাওয়ার টিলার কিনতে দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার বিক্ষব্ধ কৃষকরা এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্নিমা হালদার জানান, কালুখালীর ১৩ জন কৃষক সিডারসহ পাওয়ার টিলার কিনতে পারবে। সরকার প্রত্যেক কৃষকের জন্য ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকির ব্যবস্থা রেখেছে। অনুমোদিত ডিলার ছাড়া এই পন্য কেনার সুযোগ নেই। অনুমোদিত ডিলারের ২৮ হাজার টাকা অধিক মূল্য গ্রহনের বিষয় জানতে চাইলে পূর্নিমা হালদার জানায়, এ তথ্য সঠিক নয়।
কালুখালী উপজেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড নজরুল ইসলাম জানান, এই সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের প্রদত্ত ভর্তুকি নিয়ে আমলারা যে প্রতারনা ফাঁদ পেতেছে তা ছিন্ন করা হবে। কৃষক প্রতারিত হলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
উপজেলা কৃষক আন্দোলনের নেতা শাহ আজিজ জানান, সরকার কৃষকের প্রতি উদার। তার স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ সফল হতে দেওয়া যাবে না।
অভিযোগকারী কৃষক বিল্লাল মন্ডল জানায়, সিডারসহ পাওয়ার টিলার দেওয়ার আগেই উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্নিমা হালদার আমাদের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেছে। তবে এ টাকার কোন প্রকার রশিদ প্রদান করেননি। উপজেলা কৃষি অফিসার পূর্নিমা হালদার এ প্রসঙ্গে বলেণ, জানামত হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কেউ ফেরত চাইলে ফেরত দিবো।