একবুক স্বপ্ন ভরা সংসারে এখন শুধুই কান্নার রোল, বিষাদের ছায়া। হাহাকার মহতাশা। বেদনা বিধুর করুন এই কাহিনী রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার তরুণ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান (৩৫) ও তার পরিবার পরিজনকে নিয়ে।
মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তান লুৎফর রহমান। তার বাবার নাম ছাদেক সরদার। ৭ ভাইবোনের মধ্যে লুৎফর সবার ছোট। বিভিন্ন প্রকার বাধারই মালের ব্যবসার মধ্য দিয়ে সে জীবীকা নির্বাহ করতো। এ দিয়ে সুখেই চলছিলো তাদের সংসার। বাবা মা ছাড়া এক স্ত্রী আর ৬ বছরের পুত্র সন্তানের দেখাশোনা করতো তরুন ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান। পুত্রই ছিলো তার চোখের মনি। তাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এই আশায় পুত্র নাফিজকে শহরের সেরা স্কুলে ভর্তি করেছে সে। বাবার আদর আর ¯েœহেই নাফিজের সকালে ঘুম ভাঙে আর রাতের ঘুম আসে। এমননি মায়া আর ছায়ার মধ্যদিয়ে চলতো লুৎফর রহমান এর ব্যবসা।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ী থেকে বের হয় লুৎফর। সন্ধায় পাংশার মাছপাড়া এলাকা থেকে ৩ বন্ধুর সাথে বাড়ী ফিরছিলো। পথিমধ্যে হেনামোড়ে লুৎফরের মোটর বাইক ট্্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে গুরুতর আহত হয়। রাতেই তাকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর নেওয়া হয়। ফরিদপুর সদর হাসপাতালের লিফটে তরুন ব্যবসায়ী লুৎফর সরদার এর মৃত্যু হয়। শেষ হয়ে যায় একগাদা স্বপ্নের সময়।
লুৎফরের স্ত্রী নাজমিন রহমান জানান, বাবাকে ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না নাফিজ। কি করে ওকে শান্তনা দিবো ভাবতে পারছি না।
শিশু নাফিজ হাউমাউ করে কান্নার সুরে বলেন, আংকেল আমাকে কে স্কুলে নিবে। আমার কি পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার খামারবাড়ী প্রা. বিদ্যালয় মাঠে লুৎফর রহমানের জানাজা ও খামারবাড়ী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।