রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের বালিয়াকান্দি- মৃগী ভায়া নারুয়া ও বালিয়কান্দি – মধুখালী ভায়া মেঘচামী সড়কে সংস্কার কাজে অনিয়মে জনদূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। ফলে সরকারের টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় বালিয়াকান্দি -মৃগী সড়কে ০০-১২৩০০ মিটার ও বালিয়াকান্দি -মধুখালী ভায়া মেঘচামি সড়কে ০০-৪৫৩৫ মিটার দৈর্ঘ্য ৫.৫ মিটার প্রস্থের সড়ক সংস্কারের কাজ পায় নাটোরের উত্তর বরগাছার ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম। কাজটির চুক্তিমূল্য ২৩ কোটি ২৩ লক্ষ ১৭ হাজার ২২৪ টাকা। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হতে ২০২২ সালের ১৭ আগষ্ঠের মধ্যে উক্ত কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার কাজটি যথা সময়ে সড়কের ছাল বাকলা তুলে এজিং করে ইটের খোয়া দিয়ে সমান করে। বালিয়াকান্দি – মৃগী সড়কে আংশিক চলাচলের যোগ্য করলেও বালিয়াকান্দি- মধুখালী সড়কের কাজ একটুও করা হয়নি। করা হয়নি সোল্ডারিংয়ের কাজ। যে কাজটুকু সম্পন্ন হয়েছে সোল্ডারিং না করায় একটু বৃষ্টি হলেই ধ্বসে যাচ্ছে অনেক স্থানে।
দক্ষিণ বালিয়াকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী তানিয়া লাইজু, শিউলী বেগম, খোদেজা বেগম,লিলি বেগম, শুকজান বিবি জানায়, বাস ট্রাক মোটর সাইকেল সহ যানবাহন যাওয়ার সাথে সাথে ধূলা ঘরে ঢুকে খাবারে মিশে যায় । ফলে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া আমাশয় সহ পেটের পীড়ায় ভুগতে হচ্ছ। ঘরের বিছানা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেওর্ ক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত নষ্ঠ হচ্ছে টিভি, ফ্রিজ সহ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। ধূলার কারনে বাড়ীতে ভিজা কাপড় রোদে শুকানে পারছিনা, অন্যত্র শুকাতে হচ্ছে। একেতে প্রচন্ড ঠান্ডা সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শিশু ও শ্বাসকষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে।
কৃষক আকরাম, রাজকুমার, বাবলু জানান, ইট বালুর রঙিন ধূলার কারনে রাস্তার পাশে কোন ফল ও ফসল কোনটাই হচ্ছে না। ফলে তাদেরকে প্রতিবছর অনেক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
কলেজ শিক্ষক শামীম মিয়া জানান, সড়কে মোটর সাইকেলে চলতে গেলেই ৫মিনিটেই সারা শরীর ও সাইকেলে ধূলা লেগে যায়। হেল্পমেটের মধ্যে ময়লা ধূলা চোখে ঢুকে আক্রান্ত হতে হয়। সাদা ও কালো পোষাক পরার কোন সুযোগ নেই। সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অটো ভ্যান ও মহেন্দ্র গাড়ী চালক আব্দুল হক , আব্দুল মালেক জানায়, ৪/৫ বছর হলো রাস্তা খারাপের কারণে গাড়ীর টায়ার সহ যন্ত্রাংশ ক্ষতি হচ্ছে। উক্ত ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে না। তারপর সন্তানের লেখাপড়ার খরচ। দ্রুত কাজটি শেষ করা হউক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত আমিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী খোন্দকার রাহাত ফেরদৌস জানান, ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠির মাধ্যমে তাগিদ দেওয়া হয়েছে ,তা সত্বেও কাজ করছে না । তিনি ইতোমধ্যে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল কাজের মেয়াদ সম্প্রসারন করেছে। এরপর কার্য সম্পন্ন না করলে প্রধান প্রকৌশলী তাকে জড়িমানা করতে পারেন।