রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের ভট্টাচার্যপাড়া গ্রামে প্রবাসী স্বামী ও সন্তান রেখে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী মহিদুলের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২৫) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভট্টাচার্যপাড়া গ্রামে প্রেমিক কামরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসার চেষ্টা করলেও তিনি সেখান থেকে সরেননি। মহিদুল ও মরিয়মের সংসারে পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
.অন্যদিকে, কামরুল ইসলামও বিবাহিত। তার স্ত্রী ও চার বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে কামরুল পলাতক রয়েছেন।
মরিয়ম আক্তার জানান, প্রায় আট-নয় মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর সম্পর্কটি আরও ঘনিষ্ঠ হয়। স্বামীর সংসার কিংবা বাবার বাড়ি কোথাও আমার জায়গা নেই। তাই আমি কামরুলের কাছ থেকে সামাজিক স্বীকৃতি চাই।
কামরুলের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে ওই নারী কথা বলত। আমি ধরলে বলত ভাই পেতেছে। এখন আমার সংসার নষ্ট হওয়ার পথে। আমি চাই না আমার জীবন বা ওর জীবন নষ্ট হোক।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্য সালিশে মরিয়মকে বাবার বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাতেই আবার কামরুলের বাড়িতে ফিরে আসেন।
কামরুলের মা ও প্রতিবেশীরা অভিযোগ করে বলেন, মরিয়ম কামরুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মোবাইলে কথা বললেই সম্পর্ক হয়ে যায় না।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, স্বামী ও সন্তান রেখে আরেকজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করার ঘটনা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই মরিয়মকে তার স্বামীর সংসার বা বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।