রাজবাড়ীর পাংশায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে মো. নাঈম মোল্লা (২৩) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গত বুধবার রাত ২ টা ৩০ মিনিটে নিজের থাকার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের প্রবাসী কামরুল হাসানের ছেলে।
নাঈমের একটি দোকান ছিল। দোকান চালাতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ হয়ে যায়। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নাঈম আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করছেন তারা।
স্ত্রী মুক্তা খাতুন বলেন, আমার স্বামী রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে আমার শশুরের সাথে ফোনে কথা বলেন। এসময় আমরা বুঝতে পারি যে সে বাহির থেকে ঘুমের ঔষধ বা কিছু একটা খেয়ে এসেছে। যে কারনে কিছুটা মাতাল অবস্থায় ছিলেন। এ কারনে রাতের খাবার না খেয়ে সে ওই ভাবেই ঘুমিয়ে পরে। এবং তার সাথে আমিও ঘুমিয়ে পরি। রাত ২.৩০ দিকে আমি বাইরে যাওয়ার জন্য উঠলে দেখতে পাই আমার স্বামী ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। তখন আমি চিৎকার করে সবাইকে ডাক দেই। আমার স্বামী দোকান চালাতে গিয়ে কিছু টাকা ঋন থাকার ফলে অনেক হতাশাগ্রস্থ ছিলেন।
পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে।