রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় যথাযথ বিধি না মেনে রাইপুর কালিকাপুর শ্রীপুর মশুরিয়া একাডেমিতে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯৯৪ সালে কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে মো: জয়নাল আবেদিন নামক এক প্রার্থীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ৬/৮/২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে পরিচালনা কমিটি ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে। এর কিছুদিন পর একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বিধি মোতাবেক দোষী সাব্যস্ত না হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না। কিন্তু তা না মেনেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে একই পদে তার জুনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটিও শূন্য হয়নি। তারপরও শূন্যপদের কথা বলে সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১০/১/২০২৪ ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: জয়নাল আবেদিন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করে দাবী করেছেন তার অপসারণ অবৈধ। তিনি বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। ওই আবেদন নিস্পত্তি না হতে ই তরিঘরি করে পদটিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি খোন্দকার আনোয়ার হোসেন জানান, জয়নাল আবেদিনকে আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করিনি। আগের সভাপতি করেছে। নিয়োগের জন্য পরপর ৩ বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১ম ও ২য় বারের আবেদনকারীদের বাদ রেখে বৃহস্পতিবার ৩য় বারের আবেদনকারীদের বাছাই করা হয়েছে।