রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ক্লুলেস একটি হত্যাকান্ডের মাত্র তিন দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়ালন্দ থানা পুলিশ। সেইসাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার শামসু মাষ্টার পাড়ার শহিদ শেখের ছেলে মো. নিরব শেখ (১৭) এবং সাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মো. মাদার কাজীর ছেলে মো. হায়াত কাজী (১৭)।
রবিবার দিনগত গভীর রাতে রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার হরিণবাড়িয়া প্রামাণিক পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। খুন হওয়া যুবকের নাম মো. সোহান শেখ (২০)। সে দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজীর পাড়ার আলামীন শেখের ছেলে। গতকাল সোমবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি জানান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতেখারুজ্জামান। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর পাশে অবস্থিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মানাধীন ভবনের নিচতলায় বালুতে পুতে রাখা এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে লাশের পরিচয় সনাক্ত হয়।
এ ঘটনায় তার চাচা মো. সেলিম শেখ বাদী হয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার দিন রাতে সোহান শেখকে যৌনপল্লির জাহাঙ্গীরের দোকানে বসে থাকতে দেখে আসামিরা গাজা সেবনের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তারা প্রথমে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে সোহানকে আঘাত করে। এরপর আইন সংঘাতে জড়িয়ে পরা শিশু তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার পর থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল কাজ করতে থাকে। বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিন দিনেই আসামিদের গ্রেফতারসহ হত্যা মামলায় ব্যাবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করতে সক্ষম হন।