রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানার নাম ভাঙ্গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ব্যাপারে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বালিযাকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের জানান, বুধবার বিকেলে আমার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. লোকমান হোসেন আমাকে জানায় বালিয়াকান্দির ইউএনও ০১৮৮৩৮৪৩৫৩৬ নম্বরে ফোন দিয়েছিল। আপনার নামে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা এসেছে । এখনই ৬১ হাজার টাকা ব্যাংক ম্যানেজারের ০১৬১০৯৩৯৯০৪ বিকাশ নম্বরে পাঠালে অবশিষ্ট টাকা আপনার হিসাবে জমা হবে। বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওকে জানান।
একই ইউনিয়নের বাকসাডাঙ্গী গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওহাব আলী জানান, তার ওয়ার্ডের মেম্বর ইয়াকুব আলী তাকে এবং মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সখিনার নিকট একই মোবাইল ও বিকাশ নম্বরে ইউএনও ও ব্যাংক কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে। আধা ঘন্টার মধ্যে ইউপি মেম্বরদের মাধ্যমে এমন দাবী করেছে টাকাপোড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দীনের কাছে।
জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, তার ওয়ার্ডের এবং গ্রামের ছেলে মাসুদ মেম্বর তাকে ফোন দিয়ে বলে তোমার আব্বার নামে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা এসেছে বালিয়াকান্দি সোনালী ব্যাংক মানেজারের বিকাশ নম্বরে এখনই ৬২ হাজার ৫শ টাকা জমা দিলে অবশিষ্ট টাকা তোমার আব্বার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ব্যাংক ম্যানেজার ও ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলছি। তাদেও দু’জনের সাথে কথা বলে মোবাইল প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে ঐ নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা জানান, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হতে এমন ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করেছি। যাদের কাছে টাকা চেয়েছিল তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।