মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাধা দেওয়ায় জয়গুন বেগমকে তার পুত্রবধূ (২০) বালিশচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ভোরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জয়গুন বেগম বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ পুত্রবধূকে আটক করেছে। জয়গুন বেগম একই গ্রামের মৃত বাচ্চু প্রামানিকের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জয়গুন বেগমের ছেলে হাফিজুর ঢাকায় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। বাড়িতে শাশুড়ি পুত্রবধূ থাকেন। বেশ কিছু দিন ধরে পুত্রবধূ একটি ছেলের সাথে মোবাইল কথা বলে। হাফিজুর ঢাকা থেকে বাড়ি এসে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। এনিয়ে উভয়ের ঝগড়াঝাটি হয়। পুত্রবধূর কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে পুত্রবধূ আবারও মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি নিষেধ করেন এবং ফোন লুকিয়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে পুত্রবধূ ক্ষিপ্ত হয়। রাতে যে যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে তিনি প্রাকৃতিক কাজ সেরে আবার শুয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তার পুত্রবধূ ঘরে ঢুকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। তিনি চিৎকার দিতে গিয়েও পারেননি। একপর্যায়ে তিনি ধাক্কা দিয়ে পুত্রবধূকে ফেলে দিতে সক্ষম হন এবং চিৎকার দিলে তার ভাই এসে তাকে উদ্ধার করে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি সাহাদত হোসেন জানান, শাশুড়িকে তার পুত্রবধূ হত্যাচেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ভুক্তভোগীরা এজাহার দিলে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।