একটি চাঁদাবাজি মামলার আসামির হয়ে আদালতে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে দুই আইনজীবীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর থানার এসআই হুমায়ুন রেজা বাদী হয়ে শুক্রবার মামলাটি দায়ের করেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলার প্রকৃত আসামির পরিবর্তে প্রক্সিম্যানকে হাজির করে জামিন আবেদন করেন আইনজীবি। আদালতে ওই ব্যক্তির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। প্রক্সিম্যান প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে আদালতের কাছে মুক্তির আবেদন করেন। আদালত ওই প্রক্সিম্যানের নাম ঠিকানা যাচাই করে সত্যতা পান।
মামলার বাদী ও রাজবাড়ী থানার এসআই হুমায়ন রেজা জানান, পাংশা থানায় দায়ের হওয়া একটি চাঁদাবাজী মামলা রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত ২৮ জুলাই বিকালে ওই মামলার প্রকৃত আসামি ও জেলার পাংশার পারনারায়নপুর গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিন শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম চুন্নুর পরিবর্তে একই গ্রামের বিজন কুমার হলদার পরিচয় গোপন করে উপস্থিত হয়। সে সময় ওই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামির জামিন আবেদন করেন। তবে আদালতে আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে প্রক্সি দিতে আসা বিজনকে পুলিশ করাগারে নিয়ে যায়। এতে বিপদে পরে যান বিজন। পরবর্তীতে বিজন আদালতের কাছে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন করেন। যে কারণে আদালত বিজনের প্রকৃত নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে পাংশা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাংশা থানার ওসি তার প্রতিবেদনে জানান কারাগারে থাকা ব্যক্তি বিজন ওই মামলার আসামি নন এবং প্রকৃত আসামি হলো রবিউল ইসলাম চুন্নু। যার প্রেক্ষিতে আদালত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য রাজবাড়ী থানার ওসি কে নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় বিজন কুমার হলদার, মো. রবিউল ইসলাম চুন্নু, পাংশার সত্যজিৎপুরের মৃত মীর আবু সাঈদের ছেলে ও আইনজীবি সহকারী (মহুরী) আশরাফুল আলম পলাশ, পাংশার নারায়নপুর কলেজপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবি জাহিদ উদ্দিন মোল্লা এবং একই আইনজীবি একেএম শহিদুজ্জামানকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোনের জানান, ওই ঘটনার পর প্রকৃত আসামি রবিউল ইসলাম চুন্নু আদালতে হাজির হয় এবং তবে আদালত তাকেও কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে বিজন ও চুন্নু রাজবাড়ী জেলা কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।