মা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ মাছ শিকার ও আহরণ নিষিদ্ধ। এসময়ে বেকার হয়ে পড়া জেলেরা কি পাবে সরকারি সহায়তা? এ প্রশ্ন জেলেদের। তারা বলছেন, কার্ডধারী জেলেরা নিরব থাকলেও মৌসুমি জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরি করতে ব্যস্ত রয়েছে।
জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন নদীতে প্রচন্ড স্রোত । যে কারণে নদীতে নামতে অনেক কষ্ট হয়েছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে গেলেও মাছ পাওয়া যায়নি। পদ্মা-যমুনা নদীতে ইলিশ মাছের দেখা মেলেনি। তবুও জীবনের তাগিদে প্রতিদিন নদীতে মাছ শিকারে গিয়েছেন। শুক্রবার থেকে তো বন্ধই হয়ে গেল ইলিশ শিকার।
রাজবাড়ী মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলায় ১০হাজার,২শত ৯০জন জেলে রয়েছে। তবে হাল নাগাদ জেলেদের তালিকা পাওয়া যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
২২দিন ইলিশ মাছ ধরা নিশেষ থাকা-কালীন জেলেদের সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হয়। ২০২১-২২ইং বছর ৪শত ৭০জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়ে ছিল। ২০২২-২৩ইং বছর জেলেদের বরাদ্ধ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ৭ অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
কার্ডধারী জেলে মো. অছেল হলদার বলেন, এখনও পর্যন্ত সরকারি কোন সাহায্যে সহযোগিতা পায়নি। পেলেও ২০ কেজি করে চাউল পাওয়া যাবে। তবে সবাই পাবে না। তিনি আরোও বলেন, একটি নৌকায় ১০/১২ জন জেলে থাকে তাহলে আমরা চলবো কিভাবে। জীবন না চললে সরকারি আইন মানবো কিভাবে?
জয়নাল নামের এক মৌসুমী জেলে বলেন, আমরা সারাবছর মাছ ধরে কোন রকম চলি। সরকারি সাহায্যে-সহযোগিতা কোন বছর পায়নি। যে কারণে এনজিও থেকে টাকা নিয়ে জাল তৈরি করেছি। তিনি আরোও বলেন, সরকারি সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমরা নদীতে মাছ ধরতে যাবো না।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য অফিসার মো. মশিউর রহমান জানান, জেলেদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ৭ অক্টোবরের পূর্বে বরাদ্ধ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, গত বছর ৯৪ মেঃটন চাউল ৪৭০জন জেলেদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।