শফিকুল ইসলাম শামীম ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় একাধিক জায়গায় চলছে মাটি খনন। আবাদি জমি, নদীর পার কোথাও বাদ যাচ্ছে না। ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবাদে প্রতিনিয়ত মাটি খনন করা হচ্ছে। এতে ভাঙন আতংকে রয়েছে নদী পারের সাধারণ মানুষ। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালিত হয় কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখে। এক সপ্তাহ না যেতে পুনরায় শুরু হয় অবৈধ ভাবে মাটি খনন। অনুসন্ধানে জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের একাধিক জায়গায় ড্রেজার ও বেকু দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। খনন কৃত মাটি বিভিন্ন ইট ভাটিতে যাচ্ছে। বালু যাচ্ছে ভরাট কাজে। প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু ও মাটি খনন করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাট এলাকার একাধিক নারী পুরুষ বলেন, বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখার জন্য নদীতে ড্রেজিং করেছে। ড্রেজিংকৃত বালু নদীর অন্য পাশে ফেলানো হয়েছে। সেই বালু এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল অবাদে বিক্রি করছে। সেখান থেকে প্রতিদিন ৫শতাধিক ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা আয় করছে প্রভাবশালীরা। এতে ভাঙন আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। দৌলতদিয়া ইদ্রিস পাড়া ও বেপারীর পাড়ার একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর ভাঙন। শুকনো মৌসুমে মাটি খেকুদের অত্যাচার। তারা আরও বলেন, মাঠির ট্রাকের কারণে সুস্থ্য মত খেতে পারি না। খাবারের সাথে বালু কিচ কিচ করে।
এছাড়াও দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও উজানচর এলাকায় মরা পদ্মায় অবৈধ ভাবে মাটি খনন করা হচ্ছে। অনেকে সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাদি জমি থেকে বেকু দিয়ে খনন করে মাটি বিক্রি করছে। এতে অনেকের আবাদি জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বাধ্য হচ্ছে প্রভাবশালীদের নিকট অল্প মূল্যে বিক্রি করতে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক খান মামুন জানান, প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার ধবংস ও জরিমানা করা হচ্ছে। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে, উন্নয়ন মূলক কাজ ছাড়া কারও কোন প্রকার ক্ষতি করে মাটি খনন করা যাবে না।