নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে মোটরবাইক চলাচল করছে অবাদে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাধা দিতে দেখা যায়নি। এদিকে ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের শেষ মুহূর্তে উভয় ঘাটে যাত্রীদের স্রোত দেখা যায়। তবে উভয় ঘাটে যানবাহনের কোন সারি নেই। ঘরমুখি যাত্রীরা সহজে ফেরি ও লঞ্চ পার হয়ে গৌন্তব্যস্থানে যেতে পারছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরি ও লঞ্চ ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এবং ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে ঘরমুখি হচ্ছে দক্ষিন-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে যাত্রীদের স্রোত দেখা গেলেও যানবাহনের কোন সারি নেই। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও মহাসড়কে শতশত মোটরবাইক দেখা যায়। মটরবাইক চালকগন কোন প্রকার বাধা ছাড়া ফেরির টিকিট সংগ্রহ করে নদী পারাপার হচ্ছে।
এসময় একাধিক মটরবাইক চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাধ্য হয়ে মোটরবাইক নিয়ে গোন্তব্য স্থানে যেতে হচ্ছে। তবে মহাসড়কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন বাধা পায়নি।
ঢাকা থেকে মাগুরাগামী করিব হোসেন নামের এক মোটরবাইক চালক বলেন, বাধ্য হয়ে মোটরবাইক নিয়ে এসেছি। কারণ বাসের ৩টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারিনি। পারলেও পর্যাপ্ত পরিমান টাকা না থাকার কারণে আমাকে মোটরবাইকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ীতে যেতে হচ্ছে। পথে কেউ বাধা দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাসড়কে কোন পুলিশ বাধা দেয়নি। ফেরি টিকিটও সহজে সংগ্রহ করতে পেরেছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কে মোটরবাইক চলাচল নিষেধ আছে। কিন্ত ফেরি পারাপার করার কোন নির্দেশনা আমাদের নেই। যে কারণে আমরা মোটরবাইক ফেরি পারাপার করেছি।
এদিকে ঘরমুখি সুলতানা নামের এক নারী যাত্রী বলেন, এবার মহাসড়কে কোন দুর্ভোগ হয়নি। তবে বাস ভাড়া বেশি নিয়েছে। তিনি বলেন, বাস ভাড়া বেশি নিলেও দুর্ভোগ ছাড়া আসতে পারছি। বিগত বছরগুলোর দুর্ভোগের কথা বলে বুঝানো যাবে না।
যাত্রীবাহী বাস সোহাগ পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট সুপারভাইজার সুজন আহমেদ বলেন, অসংখ্য যাত্রী লঞ্চ ও ফেরি পার হয়ে আসছে। তবে উভয় ঘাটে কোন দুর্ভোগ নেই। যানবাহন গুলো দুর্ভোগ মুক্ত হয়ে ফেরি পার হতে পারছে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ রহমান জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। দুপুর পর্যন্ত ঘরমুখি যাত্রীদের চাপ না থাকলেও দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যাত্রীদের নদী পারাপার করায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে এই নৌরুটে যাত্রীদের চাপ কমেছে। যে কারণে যে সকল যাত্রী এই নৌরুট ব্যবহার করছে তারা সহজে ঘরমুখি হতে পারছে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট যানবাহনের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমেছে। যে কারণে ঈদে ঘরমুখি যানবাহন ও যাত্রীদের চাপও কমেছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ হয়। কিন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২২টি ছোট বড় ফেরি চলাচলের কারণে সহজে নদী পারাপার করা সম্ভব হয়েছে। উভয় ঘাটে কোন যানবাহনের সারি নেই। তবে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।