শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা, নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনাসহ সকল শিক্ষকের নির্যাতনের প্রতিবাদে গোয়ালন্দে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হালিম তালুকদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম মিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বিলকিস আক্তার, রাবেয়া ইদ্দিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ রায়হান প্রমুখ। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সকল কলেজ ও মাধ্যমিক দিব্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনের আব্দুল হালিম মিয়া কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস আক্তার বলেন, শিক্ষকের হত্যা, শিক্ষকের অপমান জাতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এটা শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা। সুতরাং শিক্ষকদের মনোবল যেন ভেঙ্গে না যায় সেজন্য অবশ্যই অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রের হাতে শিক্ষক হত্যা-নির্যাতন চলমান থাকলে শিক্ষকদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে। যোগ্য ব্যক্তিরা শিক্ষকতা পেশায় থাকবে না।
গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম লিন্টু বলেন, শিক্ষকের কাছে ছাত্র-ছাত্রী সন্তানের সমতুল্য। যাদের শিক্ষা দেওয়া শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে আমরা সন্তানের মত করে প্রতিটি ছাত্রের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্ত এই সন্তান সমতুল্য ছাত্রের হাতে শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন হতে হয় তাহলে এর চেয়ে মরে যাওয়া অনেক শেয়।
রবিবার বেলা ১টার সময় দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পৌর সভার সামনে মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে সরকারী গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ হালিম তালুকদার বলেন, খুব কষ্ট নিয়ে এই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। মানববন্ধনের উদ্দ্যেশ্য হলো আমাদের এক শিক্ষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীর শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আরেক জন শিক্ষক যাকে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এই শিক্ষকের যে অপমান করা হয়েছে। তার তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো।