রাজবাড়ীতে জলাবদ্ধতা থেকে ফসল রক্ষার দাবিসহ ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সুলতানপুর ইউনিয়ন কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বড়পুল মোড়ে একত্রিত হয়। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের আমতলায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সুলতানপুর ইউনিয়ন কৃষক সমিতির আলাউদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আইনজীবী মানিক মজুমদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবদুস সামাদ মিয়া, সুলতানপুর ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এস আবুল হাসেম, বসন্তপুর ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সভাপতি জাহানারা বেগম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, খলিলপুর কুমার নদ থেকে খলিশা রামকান্তপুর সংযোগ খালের পশ্চিমমুখে কয়েকজন প্রভাবশালী পুকুর খনন করে খালের পানি প্রবাহের উৎসমুখ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে বিলের পানি আটকা পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শতাধিক একর ফসলী জমি জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগীরা। তবে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। মানবিক দাবি আদায়ের জন্য কৃষকদের না খেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ছুটে আসতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে ২৪ এর আকাঙ্খা আসলে বাস্তবায়ন হয়নি।
এসময় তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো অনতিবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সমস্যা চিহ্নিত করাসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে। প্রতিবছর যাতে একই সমস্যা না হয়, তার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর বিধান মোতাবেক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহ এবং স্বল্প সুদে কৃষিঋণ দিতে হবে। প্রকৃত কৃষকদের ডিজিটাল কৃষিকার্ড প্রদান করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে ভূক্তোভোগি কৃষকদের প্রতিনিধি রাখতে হবে।