রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক বৃদ্ধকে (৬৫) নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকাল ৯ টার দিকে পুলিশ ও কয়েকজন যুবক গোয়ালন্দ রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনের যাত্রী ছাউনির ভিতর থেকে ওই বৃদ্ধকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই বৃদ্ধ বিগত ৫ বছর যাবত গোয়ালন্দের বিভিন্ন এলাকায় থাকতেন। কিছুদিন ধরে তিনি এই যাত্রী ছাউনির নিচে থাকতে শুরু করেন। তবে কে বা কারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে নাকি সে পূর্ববর্তী কোন শত্রুতার শিকার হয়েছেন সে সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন শেখ, সোহেল রানা, ইমরান ফকিরসহ কয়েকজন জানান, তারা সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জামতলা বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনের যাত্রী ছাউনির ভিতরে এক বৃদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে তাকে বীভৎস অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যাই। পরে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ্ মুহাম্মদ শরীফ জানান, বৃদ্ধের মাথায়, কপালে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত রয়েছে। এ রকম একজন দুর্বল বৃদ্ধকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, কিছুদিন আগে এ রকম মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধকে এলাকার একটি কলেজের বারান্দায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনার সাথে আজকের এই ঘটনার অনেকটাই মিল রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালছে।