গোয়ালন্দে ওসি রাকিবুল ইসলামের মধ্যস্ততায় তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থী ও জুবায়ের পন্থীদের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনার অবসান ঘটেছে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রাম জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা রেজাউল করিমের (সাদপন্থী) বিতর্কিত নানা বক্তব্যকে ঘিরে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জুবায়েরপন্থী আলেমদের উপর সাদপন্থিদের হামলায় হতাহতের ঘটনার পর হতে তিনি ক্রমাগত উত্তেজনাকর বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে তাকে ইমাম পদ হতে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এলাকার জুবায়েরপন্থি মুসুল্লিরা। বিষয়টিকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মুসুল্লি ও গ্রামবাসী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
এ নিয়ে কয়েক দফা আলাপ-আলোচনার পর শুক্রবার বাদ জুম্মা ওই মসজিদে উভয় পক্ষ বসে শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হন।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাসান মন্ডল, মসজিদ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী শেখ, সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ মোল্লা, সাদপন্থী ও জুবায়ের পন্থি কয়েকজন আলেমসহ এলাকার কয়েকশ সাধারণ মুসুল্লি উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, আদর্শ গ্রাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রেজাউল করিমের অপসারণ দাবিকে ঘিরে এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তিনি গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে মসজিদে বসে শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়। শুক্রবার আছর নামাজ পড়িয়ে ওই ইমাম সাহেব বিদায় নিয়েছেন। মাগরিব হতে নতুন ইমাম সেখানে নামাজ পড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিদায়ী ইমামকে সর্বসম্মতভাবে নগদ ৩০ হাজার টাকা বিদায়ী সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাদপন্থী বিদায়ী ইমাম মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তিনি অব্যহতির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। বিগত ২০১৪ সাল হতে তিনি এই মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন। এই সময়ে এলাকায় দ্বীন প্রচারের পাশাপাশি তিনি মসজিদের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানান।