বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। অন্য অন্য জেলার পাশাপাপাশি কৃষিতে রাজবাড়ী জেলা অন্যতম। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই গোয়ালন্দ উপজেলা। সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে গোয়ালন্দ আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানির মিষ্টি কুমড়ার নতুন একটি বীজ সুইট হাট-২ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মধ্যে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০/৮০ গ্রাম বীজ বপন করতে কৃষকের খরচ হয় সর্বসাকুল্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বপনের শুরু থেকে মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে সময় লাগে ২ মাস থেকে আড়াই মাস। কৃষকরা প্রতি বিঘা জমির মিষ্টি কুমড়া ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বিক্রির আশা করছে চাষীরা। সব খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছে তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, মিষ্টি কুমড়া গাছের বিশাল সমাহার। সবুজ গাছের প্রতিটি ডগায় ডগায় একের অধিক কুমড়া ধরেছে। উজানচর ইউনিয়নের মহিদাপুর, মজলিশপুর চরের অনেক কৃষক সুইট হাট-২ মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর। কৃষকরা ধারণা করছেন কুমড়াতে যদি পোকা না ধরে তাহলে ভালোই লাভবান হবেন তারা।
চর মহিদাপুর এলাকার চাষী মো. ইউছুপ শেখ ও মো. মধু বেপারী বলেন, এবছর তিনটি জাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। এর মধ্যে গোয়ালন্দ বাজার আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানি হতে সুইট হাট-২ মিষ্টি কুমড়ার জাতটি চাষ করে সবচাইতে বেশি ফলনের আশা করছি। এবার মনে হয় একটু লাভের মুখ দেখতে পাবো।
চর দৌলতদিয়া এলাকার চাষী মো. হানিফ মোল্লা এবং মৃধাডাঙ্গা এলাকার চাষী মো. হাসান মৃধা জানান, এবছর বিভিন্ন দোকান যাচাইবাছাই করে আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানি হতে মিষ্টি কুমড়ার সুইট হাট-২ জাতের বীজ এনে লাগিয়েছি। আল্লাহর রহমতে ফলনও অনেক ভালো হয়েছে আশা করছি বাজারমূল্য ভালো পেলে অনেক লাভবান হবো।
চরকর্ণেশনা এলাকার চাষী মোহাম্মদ আলী বলেন, সুইট হাট-২ জাতের নতুন মিষ্টি কুমড়ার জাতের কথা শুনে এবছরই পরীক্ষামূলক প্রথম চাষ করেছি। নতুন জাত হলেও গাছের ডগায় ডগায় মেলা ফুল এসেছে। মনে হচ্ছে ফলনও ভালো হবে। এবার মিষ্টি কুমড়ায় লাভের মুখ দেখতে পাবো।
আদ্-দ্বীন এগ্রো কেমিক্যালস্ এন্ড সীড কোম্পানির চেয়ারম্যান ও গোয়ালন্দ বাজার আদ্-দ্বীন কৃষি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী, তরুণ কৃষি উদ্দ্যক্তো হুমায়ুন আহমেদ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এবছর কৃষকদের কথা চিন্তা করে কম খরচে বেশি লাভের জন্য মিষ্টি কুমড়ার তিনটি জাতের বীজ উৎপাদন করেছি। এর মধ্যে সুইট হাট-২ বীজে সাড়া পাচ্ছি বেশি। কৃষকদের মধ্যে সুইট হাট-২ বীজ দিতে পেরে ভালোই লাগছে। এ বীজটিতে কৃষকরা চাষ করে বেশিই লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি। বীজটি বিক্রি করার পর বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখেছি এ জাতের গাছে প্রচুর কুমড়া ধরেছে। বাজার মূল্য ভালো থাকলে আশা করছি সবাই লাভবান হবেন।