রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

দৌলতদিয়ার পদ্মায় ঘূর্ণিপাকের কারণে ঝুঁকিতে বসতবাড়ি

মো. সাজ্জাদ হোসেন, গোয়ালন্দ ॥
  • Update Time : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ১৬৬ Time View

দৌলতদিয়ার ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় ফেরি ভেড়ার পানির ধাক্কায় ও প্রপেলারের পাখার ঘূর্ণিপাকে নদীর পাড় ধ্বসে যাচ্ছে। এতে করে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ওই ফেরিঘাটসহ সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের বসতবাড়ি। তারা দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

সরেজমিন পরিদর্শন করলে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে থাকা ৭ নং ঘাটের পন্টুন মেরামতের কাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা পন্টুনটি নিচু স্তর হতে মাঝের স্তরে তোলার কাজ করছেন। এ সময় ঘাটের দুই পাশে অনেকটা এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন দেখা যায়। ভাঙ্গনে গত বছর ফেলা জিও ব্যাগগুলো ধীরে ধীরে ধ্বসে যাচ্ছে।

নদী পাড়ের বাসিন্দা মেজেক আলী শেখ (৫৫),হাচেন মন্ডল (৫০),আতর আলী (৪৫),সাহেদা বেগম (৫৮),হাসনা খাতুন (২০)সহ অনেকেই বলেন, পদ্মা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ৭ নং ঘাটের আপ ও ডাউন পকেটে আসা ফেরিগুলোর চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত নদীর তীরে ধাক্কা লাগছে। সেইসাথে ফেরির পাখার ঘূর্ণনে সৃষ্ট তীব্র স্রোত সজোরে তীরে আঘাত হানছে।এতে নদীর তীর ঘেঁষে ফেলা বালু ভর্তি জিও ব্যাগগুলো ছিড়ে-ফেটে ধ্বসে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আর কয়েকদিনের মধ্যে নদীর পাড় পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে আমাদের বাড়িঘর গুলোও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

এখন পানি কম রয়েছে। চোখে দেখে দেখে বস্তা ফেললে অল্প খরচেই তীর রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তা না করে যখন অনেক পানি বাড়ে, বাড়িঘর ভেঙে যেতে শুরু করে তখন বস্তা ফেলতে আসে। গত কয়েক বছর এ সবই চলছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘাট পরিস্থিতি দেখতে আমি দৌলতদিয়া গিয়েছিলাম। ৭ নং ঘাট এলাকাসহ যেখানে যেখানে জরুরি ভিত্তিতে বস্তা ফেলানো অথবা অন্যান্য কাজ করা দরকার সেগুলো করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া ফেরি চালকদেরকে ফেরির পাখা ধীরে ঘোরাতে অনুরোধ জানানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com