গোয়ালন্দে বিড়ি ও গুল কারখানার শ্রমিকদের ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কারখানায় শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম সুরক্ষার পরিবেশ না থাকায় তারা সহজেই অসুস্থ্য হয়ে ধুকে ধুকে জীবন যাপন করছেন। অসুস্থ্য হচ্ছে তাদের পরিবারের শিশুসহ অন্যান্য সদস্যরাও। এ সকল কারখানার কোন লাইসেন্স আছে কিনা তাও আমরা জানি না। এ বিষয়ে প্রশাসনেরও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না।
সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মুহিত সোমবার তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ অভিযোগ করেন।
এছাড়া বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় গোয়ালন্দে দিন দিন খাদ্য শস্যের জমিতে আশংকাজনকভাবে তামাক আবাদের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে বলে কয়েকজন বক্তা অভিযোগ করেন।
১০ জুন সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ট্রাস্কফোর্স কমিটি এ কর্মশালার আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. প্রদীব কান্তি পাল, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, সহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।
কর্মশালায় ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্সকে সহায়তা করতে সকল সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি কর্মশালায় উল্লেখিত সুপারিশের প্রেক্ষিতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, ঘাট এলাকা, যানবাহনসহ প্রকাশ্যে ধুমপান বিরোধী সভা সমাবেশ করা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে দ্রুত নানা কর্মকান্ড বাস্তবায়নের উপর জোর দেন।