ছাত্রদলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরদার (২৫)। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা শহর থেকে ছাত্রদলের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাস থেকে নামিয়ে তার ওপর বর্বরোচিত হামলা করে ছাত্রদলের একাংশের নেতারা। হামলার পর স্থানীয়রা সবুজকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার ভোর রাত ৪ টার দিকে তার মাথায় অস্ত্রপচারের পর আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার অবস্থা খুবই জটিল।
সবুজ সরদারের বড় ভাই সেলিম সরদার বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের সম্মেলন শেষে বাসযোগে বাড়ি ফিরছিল তার ছোট ভাই সবুজ। আমি আমার ভাইয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। সেইসাথে তার উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই। তিনি আরও বলেন, গোয়ালন্দ হাসপাতালের সামনে বাসটি পৌঁছালে একদল যুবক বাসটিতে উঠে ভেতর থেকে সবুজকে নামিয়ে নিচে নিয়ে আসে। এ সময় তারা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে সবুজকে বেদম মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান বলেন, চেয়ারে বসা নিয়ে গোয়ালন্দের ছাত্রদলের এক নেতার সাথে অপর একটি পক্ষের হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আমরা সব মিটমাট করে দেই। পরে আবার শুনেছি গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরদারের ওপর গোয়ালন্দে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে মারধর করেছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে চেয়ারে বসা ও স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিসহ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রানবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, হামলার ঘটনায় শনিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।