২১ মে মঙ্গলবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। শেষ পর্যায়ে এসে জমে উঠেছে বহুল আলোচিত এখানকার নির্বাচন। এখানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন নিয়ে নেই তেমন উত্তাপ। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, এখানে ভোটারের সংখ্যা একলক্ষ এক হাজার একশত তেতাল্লিশ। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার সাথে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গোয়ালন্দ বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খান।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী। আসাদ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার সঙ্গে তালা প্রতীক নিয়ে আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম বাতেন। বাতেন বিগত উপজেলা নির্বাচনে হরে যান। টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির পলাশ নির্বাচন করছেন। তিনি উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভিন (প্রতীক ফুটবল), সালেহা আক্তার বুলবুলি (প্রতীক হাস) ও আফরোজা রাব্বানী (কলস)। ধারণা করা হচ্ছে এ দুটি পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন, ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবি সংগঠন মোস্তফা মুন্সির পক্ষে মাঠে নেমে দিনরাত কাজ করছেন। তিনি নিজেও দিনরাত একাকার করে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাছাড়া বিগত সাড়ে তিন বছর তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে অনেক সেবামূলক কাজ করেছেন। তার প্রাপ্য সরকারী সম্মানীর টাকা নিজে গ্রহণ না করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অসহায় মানুষের মাঝে দান করে গেছেন।
মোস্তফা মুন্সি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশের ন্যায় গোয়ালন্দ উপজেলাতেও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে এবং হবে। আমি উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি মানুষকে মূল্যায়ন করতে চাই। সুখ-দুঃখে সকলের সাথে মিলে মিশে থাকতে চাই। আশা করি উপজেলাবাসী আমাকে ভোট দিয়ে আবারো সেই সুযোগ করে দেবেন।
অন্যদিকে শহিদুল ইসলাম খানের বিচরণও চোখে পড়েছে। তিনি আত্মীয় ও বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার আশা, নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ী হবেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ, গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।