স্বপ্ন পূরণের পথে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের ৪ টি গ্রামের চলাচলের রাস্তা। দৌলতদিয়া ইউপি হতে উজানচর ভায়া মুখী গণি শেখের পাড়া, সোনা উল্লাহ ফকির পাড়া, যদু ফকির পাড়া ও তোরাপ শেখের পাড়া দিয়ে উজানচর নতুন পাড়া মুখী ২ হাজার ৬৮৫ মিটার রাস্তার এস্টিমেট ইতিমধ্যে পাঠিয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলা এলজিডি বিভাগ। বহুল প্রতিক্ষিত রাস্তার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অপেক্ষা করে আসছে এলাকাবাসী। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গোয়ালন্দ উপজেলা কার্যালয় কতৃক নোটিশের মাধ্যমে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পূর্ণবাসন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৪৬ টাকার একটি প্রকল্প এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই রাস্তাটির মেরামত কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ খবর শুনে অতি আনন্দে গোয়ালন্দ বাজার আদদ্বীন কৃষি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী ও তোরাপ শেখের পাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমাদের এলাকার দীর্ঘদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। আমাদের গোয়ালন্দ ও দৌলতদিয়া বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এই রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থা। কৃষি পণ্য, যানবাহন চলাচল, অসুস্থ্য রোগীদের হাসপাতালে নিতে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষাকালে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে।
শিক্ষার্থী শাকিল সরদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের এই রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। খড়ার দিনে ধুলোবালিতে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়, আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় অতিরিক্ত কাদা জমে থাকায় হেটে আসা মুশকিল হয়ে পরে। সবচেয়ে বড় কথা বছরের দুটি ঈদে বিকল্প রাস্তা হিসাবে তিন চাকার যানবাহন এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে ফলে অতিরিক্ত গাড়ি চলার কারণে রাস্তা আরও খারাপ হয়ে গেছে। শুনলাম আমাদের অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় পরে আছে। ইতিমধ্যে এলজিইডি অফিস রাস্তার এস্টিমেট পাঠিয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, সদ্য উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী রাস্তাটির জন্য অনেক দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমি প্রায় সাড়ে তিন বছরে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। তখন থেকেই এই রাস্তাটি এভাবেই পরে আছে। রাস্তাটি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের দৌড়াদৌড়ি করেছি। তবে সবসময় চেষ্টা করেছি উপজেলার সব ইউনিয়নে অধিকাংশ সড়কের কাজ হয়েছে এটারও দ্রুত সংস্কার কাজ হোক। ইতিমধ্যেই এস্টিমেট পাঠিয়েছে এলজিডি বিভাগ। এস্টিমেট টি আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই পাশ হয়ে আসলে টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দৌলতদিয়া ফকির পাড়া এলাকার সড়কের এস্টিমেট পাঠিয়েছি, এস্টিমেট অনুমোদন হয়ে আসলে তারপর টেন্ডার হবে। তিনি আরও বলেন, তবে আশা করছি খুব সীমিত সময়ের মধ্যে আমরা সড়কের অনুমোদন পেয়ে যাবো এবং সড়কের কাজের উদ্বোধন হবে।