দেশের ব্যস্ততম নৌরুট দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। প্রিয় মানুষের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে এখনো কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। আগের মতো ভীড় বা যানজট না থাকলেও তীব্র গরমে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে কর্মস্থলে যাওয়া এসব যাত্রী।
১৯ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীর তেমন একটা চাপ নেই তবে এদিনও কর্মস্থলে ফিরছে অনেক মানুষ। বিশেষ করে গাজীপুর, সাভার, কোনা বাড়ি এলাকায় কর্মরত গ্রার্মেন্টস শ্রমিকদের লঞ্চে ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
লঞ্চ ঘাট সুত্রে জানা যায়, ঈদের পরে প্রতিদিন গড়ে দশ থেকে এগারো হাজার মানুষ লঞ্চে পার হয়ে কর্মস্থলে ফিরছে। ছুটির শেষ সময়ে আজ এবং আগামীকাল লোকজন তাদের কর্মস্থলে ফিরলেই মোটামুটি ঈদের যাত্রা শেষ হবে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। তবে নদী পার হওয়া এসব মানুষকে প্রচন্ড গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা যায়। লঞ্চে পার হওয়া অধিকাংশ যাত্রীই মাহিন্দ্র ও লোকাল বাসের যাত্রী হাওয়ায় তাদের অতি গরমে নাজেহাল অবস্থা বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা খুবই খারাপ।
ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমলেও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় তেমন একটা কমেনি। কুষ্টিয়া থেকে মাহিন্দ্রে আসা যাত্রীরা বলেন, ‘ঈদে ভিড় বাড়লেই অলৌকিকভাবে ভাড়াও বাড়ে। আগে ভাড়া একশত টাকা হলেও এখন দুইশো টাকা দিয়ে এখানে আসতে হলো। তাছাড়া লঞ্চ ঘাটে আসলে আগে পাঁচ টাকা যাত্রী প্রতি নেওয়া হলেও মাঝে বন্ধ ছিল এখন আবার সেটা নেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া বাড়ি থেকে ছোট-খাটো জিনিস বড় ব্যাগে নিলে সেটার জন্য অতিরিক্ত পঞ্চাশ টাকা দিতে হচ্ছে। এর কোন প্রতিকার নেই। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকলেও তারা নির্বিকার।
কুষ্টিয়া থেকে আসা আরও কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এবং গাদাগাদি করে যাত্রী আনায় গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে ঘাটে আগের মতো ভোগান্তি নেই, যাত্রী কমে গেছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক শিমুল বলেন, সকাল থেকেই লঞ্চে যাত্রীদের কমবেশি চাপ আছে। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী, যাত্রীদের নৌযানে ওঠানো হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের পাটুরিয়া নামিয়ে দিয়ে লঞ্চ খুব দ্রুত আবার দৌলতদিয়া ঘাটে ফিরে আসছে। তবে প্রচন্ড তাপমাত্রা বাড়ায় গরমের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।