সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব চড়ক পূজা। চৈত্রের শেষ দিনে অর্থাৎ সংক্রান্তির দিন এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী এ পূজার উৎসব চলে। এটি সনাতনী দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। প্রাচীনকালে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামের এক রাজা এই পূজা প্রথম শুরু করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো চড়ক পূজা। উপজেলার ইলিশকোল শিবঠাকুর মন্দির কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে মন্দির সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ পূজা। মাঠের মাঝখানে বড় একটি কাঠের গুড়ি পুঁতে বনানো হয় চড়ক। বিকেল থেকে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পূজা শেষে দুই জন সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শি বিঁধিয়ে চড়কে ঘুরানো হয়। এসময় নারীরা দেন উলুধ্বনি। বাজানো হয় ঢাক, কাঁশি।
এই পূজা দেখতে দূর দুরান্ত ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলাও। মেলায় পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের খেলনা, হাঁড়ি-পাতিল, সুস্বাদু মিষ্টি, তেলে ভাজা নিমকি, খুড়মাসহ অনেক কিছু। শিশুদের বিনোদনের জন্য বসানো হয় নাগরদোলা। মন্দির কমিটির সভাপতি কমল কুমার দাস জানান, তারা প্রতি বছরই চৈত্র পূজা করেন। তবে এবারই প্রথম চড়ক পূজার আয়োজন করেছেন। এখন থেকে প্রতি বছরই এ পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে।