রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ৩ মাদরাসা শিক্ষককে আটকে রেখে ভিডিও ধারন ও লাঞ্ছিত করায় সংবাদ সম্মেলন করে নিন্দা জানিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার কালুখালীর মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা জহুরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ জুন দুপুরে তার মাদরাসার ৩ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য কোরআন শরীফ নিয়ে পাংশা থেকে কালুখালী আসছিলো। এসময় জনৈক মাসুম বিল্লাহ এবং আলামিন তাদেরকে ধরে নিয়ে কুড়াপাড়ার এক মাদরাসায় আটক করে লাঞ্চিত করে। পরে তাদের ভিডিও ধারন করে বলে তোরা মাদরাসার কোরআন বিক্রি করতে পাংশা এসেছিস। মাসুম বিল্লাহ ও আলামিনকে টাকা না দিলে ওই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেবে বলেও তারা ভয় দেখায়। ১ ঘন্টা আটকের পর তারা ওই ৩ শিক্ষককের সরকিছু রেখে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় ৩ দিন পর আলামিন ওই ভিডিওটি ফেসবুক পেজে পোষ্ট দিয়ে ৩ শিক্ষককে কোরআন বিক্রেতা বলে অপপ্রচার চালায়। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা জহুরুল ইসলাম এহেন অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইউনুস আলী ও হেলাল উদ্দিন বক্তব্য প্রদান করে তাদের লাঞ্ছনার কথা তুলে ধরেন।