রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক পাষন্ড পিতার বিরুদ্ধে তার নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই কন্যা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত পিতা কালাম ফকিরকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বুধবার ভোর রাতের দিকে উপজেলার চর দৌলতদিয়া এলাকায় ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, চর দৌলতদিয়া এলাকায় নিজ বাড়ির থাকার ঘরের সাথে আসামীর একটি মুদি দোকান আছে। ভিকটিম কিশোরী সারাদিন দোকানের কাজে বাবা ও সৎ মাকে সাহায্য করে রাতে দোকানেই ঘুমায়। ৬ জুন মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে ভয় পেয়ে সে বাবা-মায়ের থাকার ঘরে গিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর তার বাবা বিছানা থেকে নেমে মেয়ের শরীরে হাত দেয়। এতে সে চিৎকার করে উঠলে তাকে উপরে বিছানায় শুতে দিয়ে স্বামী-স্ত্রী নিচে শোয়। বুধবার ভোররাত ৪ টার দিকে কিশোরীর বাবা বিছানার উপর উঠে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। সকালে বিষয়টি তার দুই সৎ মাকে জানালেও তারা স্বামীর ভয়ে কিছুই বলতে পারে না। এক পর্যায়ে মেয়েটি থানায় এসে অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এর আগেও সে মেয়েকে এভাবে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ৪ টি বিয়ে করেছে। তার দুশ্চরিত্র কর্মকান্ডের কারণে তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ত্যাগ করে চলে গেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীকে বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।