রাজবাড়ীর পাংশায় হাসিব (১৩) নামে ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। হাসিব যশাই সোমসপুর দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্র এবং মাছপাড়া ইউপির খালকুলা গ্রামের মো. হামিদুল এর ছেলে।
নিহত শিক্ষার্থীর পিতা হামিদুল বলেন, সোমবার আমি ভ্যান চালিয়ে এসে নিজ বাড়িতে ভ্যান রাখি। বেলা ৩টার দিকে আমার ছেলে হাসিব আমার ভ্যান নিয়ে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বের হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ীতে ফিরে না আসায় আমরা খোজাখুজি করতে থাকি। এক পর্যায়ে লোকমুখে জানতে পারি যে, মাছপাড়া ইউপির জয়গ্রাম এলাকার খালেকের ছেলে তারেককে বিকেলের দিকে ভ্যানে আমার ছেলের সাথে দেখা গেছে। বিষয়টি আমি পাংশা থানা পুলিশকে জানাই। এরপর আজ ভোরে জানতে পারি আমার ছেলের লাশ বাবুপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্বে ঘাস ক্ষেতে পরে আছে। ভ্যান ছিনরাইয়ের জন্যই তারেক আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
পাংশা থানা সূত্র জানায়, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
জানা যায়, সংসারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে মাঝে মধ্যেই হাসিব বাবার ভ্যান নিয়ে বের হতো এবং সন্ধ্যার মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসতো।
নিহত হাসিবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান মাও: আবু সালে মো: জিল্লুর রহমান বলেন, হাসিব আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ছেলেটি অনেক ভদ্র ছিলো। ওরা দুই ভাই যথাক্রমে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনীতে পড়তো।
কালুখালী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় স্বামীর নির্মম নির্যাতনে ৩ সন্তানের জননী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়ন এর কোমরপুর এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধুর নাম রাশিদা বেগম (২৫)। সে কোমরপুরের জনাব শেখের কন্যা। তার স্বামীর নাম আব্দুল মন্ডল(৩০)। সে কোমরপুরের নুরু মন্ডলের ছেলে। ১২ বছর আগে রাশিদার সাথে আব্দুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে আব্দুল রাশিদাকে নির্যাতন করতো। কিন্তু রাশিদা তা সহ্য করে সংসার করছিলো। গত এক সপ্তাহ ধরে রাশিদার পিতার কাছ থেকে পাওয়া জমি নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু রাশিদা তার জমি স্বামীকে দিতে রাজি ছিল না। যেকারণে আব্দুল রাশিদার উপর নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তাকে আট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করে।
কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস রাশিদার লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আসামী যতদূরেই যাক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।