রাজবাড়ীতে প্রচুর গরম তাপদাহের মধ্যে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে একবার করে লোডশেডিং হচ্ছে। রাতে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ঘুমাতে পারছে না জেলাবাসী। ৮০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৬ মেগাওয়াট।
শহরের বিনোদপুর এলাকার ভ্যান চালক মো. ইউনুস হোসেন বলেন, দিনের বেলায় রাস্তায় থাহি। গরম হজম হইয়্যা গ্যাছে। এতদিন রাইতে একটু আরামে ঘুমাইছিলাম, এহন রাইতের ঘুমও হারাম হইয়্যা গ্যাছে। রাইতে তিন-চাইরফির কারেন যায়, ঘুমামু ক্যামনে।
আই পিএস বাজার থেকে উধাও, চার্জার ফ্যানের দাম ডাবল, দেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করছে ফ্যান ফলে মিস্ত্রিরা রাত অবধি ব্যস্ত দিন পার করছে। সবচেয়ে কষ্টে আছে শিশু ও বৃদ্ধরা। মজিদ ব্যাপারী জানান, বড়লোকদের তো কোন অসুবিধা নাই, তাদের আইপি এস আছে জেনারেটর আছে। আমাদের হাতপাখা ছারা উপায় নাই।
বিদ্যুতের উৎপাদন কম হওয়ার কারনে শেডিংয়ের যন্ত্রণা শেষ হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকদের ভুগতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।কোন কোন অঞ্চলের টানা তিন চার ঘন্টা বিদুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে।
টানা তাপদাহে দেশজুড়ে গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা ও যোগানের পার্থক্যও বাড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। এর প্রভাবও বেশি পড়ছে গ্রামীণ ও পল্লী এলাকাতে। বিদ্যুতের জন্য হাহাকার দেখা গেছে।
আজ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলে দিনে ০৬ থেকে ০৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং হচ্ছে বেশী। তীব্র তাপপ্রবাহ সেই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। তপ্ত আবহাওয়ায় পুড়তে থাকার এসময়ে একের পর এক দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডও হচ্ছে।
দেশজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে তীব্র গরমে পুড়ছে জনজীবন। এরই মধ্যে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে। তবে লোড শেডিংয়ের এ যন্ত্রণা নগরের চেয়ে বেশি গ্রামে। রাজবাড়ী ওজোপাডিকো বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মো. মামুন -অর – রশীদ জানান, খুব শীঘ্রই লোডশেডিং কমবে বলে আশ্বাস দিতে পারছিনা।