টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) রাজবাড়ীর উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস সোমবার পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শের ই বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাক সভাপতি প্রফেসর মো. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা বক্তব্য রাখেন শের ই বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহঃ প্রধান শিক্ষক প্রণব কুমার প্রামানিক, সহকারি শিক্ষক তপন কুমার পাল, সাংবাদিক সৌমিত্র শীল চন্দন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসুদ আহমেদ। আলোচনা সভায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন রাজবাড়ী সনাকের ইয়েস দলনেতা রাজন মন্ডল। আলোচনা সভায় শিক্ষার্থী, যুব সমাজ ও স্থানীয় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে টিআইবি নিম্নোক্ত দাবিসমূহ সুপারিশ করেছে:
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনীর মাধ্যমে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে;
প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস এবং প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক দূষণসংক্রান্ত একটি ‘‘বিধিমালা’’ প্রণয়ন করতে হবে;
সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার পাশাপাশি বায়েডিগ্রেডেবল প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে;
প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে দূষণ-কর আরোপ এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের স্বাধীন ও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ, পৃথক্করণ, পরিবহণ, পরিশোধন করতে হবে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে;
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করে উৎপাদিত প্লাস্টিক পুর্নব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতে সরকার ও বেসরকারি খাত কর্তৃক বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে;
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ এর অর্জন নিশ্চিতে প্লাস্টিক পণ্য হতে নদী ও সমুদ্র দূষণ রোধের পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ নিশ্চিতে সমুদ্র অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে;
দূষণ রোধে ব্যবহৃত তহবিলসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আর্থিক লেনদেন ও কর্মসম্পাদন প্রতিবেদন স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করতে হবে;
প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।