গোয়ালন্দ উপজেলার সামাজিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ, গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মী, গোয়ালন্দ বাজার আড়ৎ পট্টির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফকীর রফিকুল ইসলাম সবুজ (৫১) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইিন্নালিল্লাহি..রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় শনিবার দিবাগত রাত ১১.০০ টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাবেক ছাত্রনেতা সবুজ গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সম্ভ্রান্ত ফকীর পরিবারের প্রবীণ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ফকীর জালাল উদ্দিনের পুত্র এবং রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী’র প্রকাশক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বারের ভাতিজা।
রফিকুল ইসলাম সবুজ ৯০ দশকের স্বৈরাচারী আন্দোলনের রাজপথ কাঁপানো অকুতভয় নির্ভীক সৈনিক। ৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছাত্র-যুবদের একমাত্র নির্দেশকের ভূমিকা পালন করেন। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও তিনি জনপ্রিয় একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বিগত সময়ে বেসরকারী মানবিক প্রতিষ্ঠান কেকেএস এর ক্যাব প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে চাকুরি পেশা ছেড়ে পিতার ব্যবসায় মননিবেশ করেন। গতকাল রোববার দুপুর ২টায় মরহুমের নামাজে জানাজা গোয়ালন্দের ঐতিহ্যবাহী ছমির মোল্লা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষের নেতৃত্বে সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফকীর নুরুজ্জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ। জানাজা নামাজের পর ফকীর পরিবারের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।