আজ ১ এপ্রিল শিল্পী রশিদ চৌধুরীর ৯১ তম জন্মদিন। ১৯৩২ সালের এইদিনে শিল্পী রশিদ হোসেন চৌধুরী রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার হারোয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
মা-বাবা আদর করে এ শিল্পীর নাম রেখেছিলেন কনক। কনকের জন্মস্থান হারোয়া ছিল স্রোতস্বিনী পদ্মানদীর পারে । তাইতো শৈশব থেকেই শিল্পী স্ব চক্ষে দেখেছে পদ্মার বিশালতা আর ভাঙা গড়া। দেখেছে রুপালী বালুকার বি¯তৃত প্রান্তর। সবুজের সমারহ, সরসে ফুলের নাচন। হয়তো এসবের সাথে মিশেই হৃদয়ে গড়ে তুলেছিল এত আয়োজন ।
গ্রামের পাঠশালায় শিল্পী রশিদ চৌধুরীর শিক্ষা জীবন শুরু। পরে রতনদিয়া রজনীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলগাছী আলীমুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর শেষ করে কোলকাতার পার্ক সার্কাস হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন রশিদ চৌধুরী। এরপর ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন । তিনি এ কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ।
তিনি ১৯৫৬ সালে স্পেন সরকারের বৃত্তি নিয়ে ভাস্কর্য শেখার জন্য মাদ্রিদ চলে যান । দেশে ফিরে আসেন ১৯৬০ সালে। একই বছর তিনি ফরাসী সরকারের বৃত্তি নিয়ে শিল্পীদের স্বপ্নপুরী প্যারীস চলে যান । প্যারীসে দীর্ঘ ৪ বছর তিনি ফ্রেসকো, ভাস্কর্য ও ট্যাপিস্ট্রি (বুনন শিল্প) চর্চা করেন।
শিল্পী রশিদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। তার রংতুলিতে ধন্য প্যারিসের মিউজিয়াম অব মর্ডান আর্টস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম, জাতিসংঘের সেক্রেটারী জেনারেল ভবন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বার্মার প্রধানমন্ত্রীর ভবন, বাংলাদেশ, ভারত ও মিশরের প্রধানমন্ত্রীর ভবনসহ বহু স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান। তার একক চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্থান, জাপান,স্পেন,ফ্রান্স,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমুহে।
জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি গুণী শিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্মৃতিকে।