রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচন আজ। কে হাসবেন শেষ হাসি সে প্রতীক্ষায় সবাই। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একেএ শফিকুল মোর্শেদ আরুজ তালগাছ প্রতীক নিয়ে, বিদ্রোহী প্রার্থী দীপক কুন্ডুৃ মোটরসাইকেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটো আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সব আলোচনা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আর বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে। দুজনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে মৃদু উত্তাপও ছড়ায়।
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী দীপক কুন্ডুর প্রার্থীতা নিয়েই যত আলোচনা। রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দীপক কুন্ডু কেন কার ইশারায় তিনি প্রার্থী হলেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা সমালোচনা। বহিস্কারের হুমকির চিঠি দিয়েও তাকে দমানো যায়নি। দীপক কুন্ডু পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পাংশা পৌর এলাকার বাসিন্দা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির আগে দীপক কুন্ডু কোনো পদ পদবীতে ছিলেন না। তিনি পাংশা শহরে বেসরকারি ক্লিনিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বালুর ব্যবসাও করেন তিনি। সম্প্রতি রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকায় আরও একটি বেসরকারি ক্লিনিক দিয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শফিকুল মোর্শেদ আরুজ পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
এ দুজন ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটো। তিনি কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরীর সহোদর ছোট ভাই। শুরুতে হাঁকডাক থাকলেও পরে নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা দেখা যায়নি।
এদিকে পাঁচটি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ১৮ জন, সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে সাতজন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে সফুরা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। তারা হলেন নুরজাহার বেগম, সাহানা বেগম, মুক্তি রানী কর, কোহিনুর বেগম, লুৎফুন নাহার, সৈয়দা নাজমুন নাহার ও হামিদা বেগম।
সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন শওকত হাসান, লুৎফর রহমান, রাশেদুল হক অমি, আজম মন্ডল আহসান হাবীব সজল। গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত ২ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন আবুল কালাম আজাদ, ইউনুস মোল্লা ও ফারুক ইকবাল চৌধুরী। পাংশা উপজেলা নিয়ে গঠিত ৩ নং ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন গোবিন্দ কুন্ডু ও আবুল কাশেম সারোয়ার। বালিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত ৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন আব্দুস সাত্তার খান, রোকনুজ্জামান, আব্দুল বারিক বিশ^াস ও শামীম মিয়া। কালুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ৫ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছেন চারজন। তারা হলেন খায়রুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান, আজিজুল ইসলাম এবং রোকনুজ্জামান।
৪২টি ইউনিয়ন, তিনটি পৌরসভা এবং পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী। জেলা পরিষদ নির্বাচনে এসব ইউনিটের ৫৯৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে ভোট প্রদান করবেন।