রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে একই দিনে ছয় বছরের শিশুসহ তিনজন আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক পৃথক সময়ে উপজেলার নবাবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ছয় বছরের শিশু সাদিয়া খাতুন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে একই গ্রামের সূর্য শেখের মেয়ে। পারিবারিক সূত্র জানায়, তার মানসিক সমস্যা ছিল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে কেউ ছিল না। এসময় বারান্দার আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
নবাবপুর ইউনিয়নের কামারদা গ্রামে নিজ শয়নকক্ষে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে শিহাব মন্ডল নামে এক যুবক। স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় অভিমানে সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে একই গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই রাজ্জাক মন্ডল জানান, দেড় বছর আগে শিহাবের বিয়ে হয় একই উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের তানিয়ার সাথে। এরপর তারা চাকরির জন্য ঢাকায় চলে যায়। দুজনের বনিবনা না হওয়ায় ফিরে আসে। শিহাবের স্ত্রী আলাদা থাকতো। স্ত্রীর সাথে অভিমান করে তার ভাই আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে একই ইউনিয়নের ঘোরামারা গ্রামে। মনীষা নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে একই গ্রামের রাজীব মন্ডলের স্ত্রী।
মনীষার চাচা আকিদুল ইসলাম জানান, মনীষার শ^শুরবাড়ির লোকেরা যৌতুক দাবি করে। মনীষা বাবার বাড়ি গিয়ে একথা বলার পর তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মনীষা ফিরে শ^শুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের ধারণা, যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতনের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, তিনটি আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছয় বছরের শিশুর আত্মহত্যার ঘটনাটিতে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তার মাথার সমস্যা ছিল বলে জানা গেছে। অপর দুটির মধ্যে গৃহবধূ মনিষার বাবার বাড়ির লোকেরা দাফনের পর থানায় অভিযোগ দেবে বলে জানা গেছে।