রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের গড়াই নদীর পার দিয়ে শলুয়া-সুবর্ন কোলা বাধের রাস্তাটি দীর্ঘদিন পর পাকা করনের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসির মধ্যে খুশির আমেজ বইতে শুরু করেছে। দির্ঘদিনের এ দাবী পূরন হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ রাজবাড়ী সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সড়কটির নির্মান কাজ শেষে হলে কসবামাজাইল ইউনিয়নের শলুয়া, বড় খোলা, শান্তিকোলা, সূর্বণ কোলাসহ ৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে সুবিধাভোগী হবেন বলে তারা জানিয়েছেন। এছাড়াও খুলুমবাড়ী ঘাট থেকে লাঙ্গলবাদ ঘাটে যেতে সময় বাঁচবে অনেক। তাই ওই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করার। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কের বেট কাটাসহ বালি দিয়ে তা ভরাট শেষ হয়েছে অপর পান্তে ইটের খোয়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
পাংশা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, ২৩ শ ২৪ মিটার ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ইউনুস এন্ড বার্দাস নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ কাজ চলমান রয়েছে। এ নির্মান কাজের তদারকিকারক পাংশা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই কাজের সাইডে গিয়ে কাজ দেখভাল করছি, কাজটি যাতে সুন্দর ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বড়খোলা গ্রামের বাসিন্দা আজমল আলীসহ অনেকেই বলেন, এ সড়কটি আমাদের জন্য অধীক প্রয়োজনীয় আমরা আমাদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে এ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় আমাদের আশা পূরণ হতে চলেছে। কিছু মানুষ নানা ভাবে এ সড়ক নির্মানে বাধা দেওয়ার চেষ্ঠা করেছে।
এ ব্যাপারে মের্সাস ইউনুস এন্ড বার্দাস ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ সাচ্ছু বলেন, মালামালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল। তবে আমরা পূনরায় শুরু করেছি। খুব তারাতারি আমরা এ কাজ সম্পূর্ন করার চেষ্ঠা করছি। সার্বক্ষণিক এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা এ কাজের দেখভাল করছেন।
পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের সে সমস্ত কাজ চলমান রয়েছে তা আমরা প্রতিনিয়তই পরির্দশন করে থাকি। শিডিউলের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কোন সাইডে কোন ত্রুটি হলে তাৎক্ষনিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়। উন্নয়ন কাজে সকলেরই সহযোগীতা করা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন।