আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পবিত্র এই দিনে আমরা কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সবার মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি। মানুষে মানুষে মহামিলনের এই মহা-আনন্দের দিন উপলক্ষে আমি রাজবাড়ী জেলা বাসিকে জানাই ঈদ মোবারক।
পবিত্র কোরআনের সুরা হজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরবানীর পশুর মাংস কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া তাঁর কাছে পৌঁছায়। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো-এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণদের।’
এবার আমাদের মাঝে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ উল আযহা এসেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের থাবা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতিতে জনকল্যাণমুখী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন নানা প্রণোদনা। উদে¦াধন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ফলে গরিব দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। আমার বিশ্বাস, করোনা ভাইরাস মহামারির সব অন্ধকার কাটিয়ে ঈদ উল আযহা সবার মাঝে আনন্দ বয়ে আনবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার প্রত্যয়ে প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আসুন- আমরা গ্রহণ করি শপথ।
সবাইকে আবারও জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
জয় বাংলা। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।
আলহাজ¦ কাজী কেরামত আলী
জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজবাড়ী-১