পদ্মা সেতুর ওপর কিছু লেখা গৌরবের বিষয়, গর্বের বিষয় এবং আত্মতৃপ্তির বিষয়। স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে এটা আমাদের একটা প্রাইড পারফরম্যান্স। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই এদেশের বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে যেভাবে স্বয়ংবর এবং উন্নত করে চলেছেন তার ফলশ্রুতি হচ্ছে এই পদ্মা সেতু। আমরা জানি এই সেতু বিনির্মাণে স্বপ্নদ্রষ্টা জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি এই দেশ এবং জাতি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করেন। তিনি সাধারণ অর্থেই একজন প্রধানমন্ত্রী নন, জাতির জনকের কন্যা। সুদীর্ঘ দিন সংগ্রাম করে ১৫ই আগষ্টের সেই ভয়াবহ পরিণতির পর তিনি ক্ষমতায় এসে তার পিতার যে অঙ্গিকার দেশ এবং জাতিকে চিরদিনের জন্য শোষণমুক্ত উন্নত একটা সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলবেন। সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন তার পিতা তিনি তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। পদ্মা সেতুও তার মধ্যে অন্যতম। তিনি গভীরভাবে চিন্তা করছেন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ১৬টি জেলা রাজধানী থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গে আসতে মানুষের যে কি কষ্ট হয় তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেখান থেকেই তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণের চিন্তা করেছেন।
অর্থনীতির কথাও তিনি বিশেষভাবে বিবেচনা করেছেন। এটা যদি নির্মিত করা যায় তাহলে দেশে যাতায়াত ব্যবস্থারযে সুবিধা হবে যার ফলে উভয় অংশের অর্থনীতি বিশেষ করে রাজধানীর সাথে সংযোগ স্থাপন করে অর্থনীতি খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে। অনেকেরই বিশ্বাস এই অর্থনীতি এবং এই সেতুই জাতীয় আয়কে খুব সহজেই আমাদের ১.৫% প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে পারে। এটা একটা অসাধারণ ব্যাপার। তবে এই সেতুটি নির্মাণ করতে গিয়ে তাকে যথেষ্ট বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই বাধা-বিপত্তি এমন একটা মহল থেকে এসেছে যারা বিশ্বের অর্থনীতি রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বা করে আসছে। আমরা জানি বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নে জাতিসংঘ থেকে যে অর্থ প্রদান করা হয় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএফ এর মাধ্যমে এটা করা হয়ে থাকে। সেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এই সেতু নির্মাণে ঋণ দেয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছিল, একটা সুনিদৃষ্ট অর্থ দিতে চেয়েছিল কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়া হয়। আসলে দুর্নীতি নয়, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের কিছু বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনাগোনা করেন, বৃহৎ শক্তিবর্গের সাথে যাদের যোগসাজগ রয়েছে তারা দেশের অভ্যন্তরের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য শেখ হাসিনা যাতে সফল না হন এ কারণেই তারা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে ঋন বন্ধ করেছিল এবং বলেছিল দুর্নীতি হয়েছে। আসলে দুর্নীতি হয়নি, কাজই শুরু হয়নি,অর্থ বরাদ্দ হয়নি তার আগেই বলা হয়েছে দুর্নীতির কথা। কানাডার আদালতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এখানে দুর্নীতির কোন ছোঁয়া লাগে নাই। সুতরাং এসব কথা বলে কোন লাভ হয়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন ডিটারমাইন্ড পলিটিক্যাল লিডার। তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে তিনি যা চিন্তা করেন বা একবার স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেন। তার জীবন ইতিহাস একজন শাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় তার কথা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে যে একজন শাসক যা বলেছেন তা করে দেখিয়েছেন। এটা বাস্তব সত্য কথা শুধু পদ্মা সেতু নয়, তিনি যা চিন্তা করেন তাই বাস্তবায়ন করেছেন। তার চিন্তা সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য দেশের জন্য এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুসংহত করার জন্য। আজকে পদ্মা সেতু একটা বাস্তবতা, কয়েকদিন পরেই উদ্বোধন করা হবে। এটা হলে তখন আমাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত অগ্রসরমান হবে। অনেকেই বলছেন শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনা ঘটেছে চীনের কাছ থেকে লোন নিয়ে তারা লোন শোধ করতে পারছেনা। পদ্মা সেতু তো আমাদের নিজস্ব অর্থ বাস্তবায়ন করেছে চায়না অবশ্য টেকনোলজি দিয়ে সর্বত্মভাবে সাহায্য করেছে। তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তখন তারা এগিয়ে এসে আমাদের টেকনিক্যাল সাহায্য দিয়েছেন। যদিও বেশ কিছুদিন সময় লেগেছে তা হলেও এটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি এটা একটা ঋনাত্মক কোন কিছু নয়, এটা আমাদের ধনাত্মক। এখানে আমরা আয় করবো। আমরা আগেই বলেছি এটা চালু হলে আমাদের জিডিপি ১.৫% বৃদ্ধি পাবে। এই সেতুর ফলে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোত্তম যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে তা গোটা বাংলাদেশকে একটা সুন্দর সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে সাহায্য করবে।
সুতরাং আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রকল্পই উনি গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়ন করেছেন। যেমন- মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, উনি দেশকে কোথায় নিয়ে গিয়েছেন তা আজকে বিশ্বসভায় আমরা মর্যাদার আসনে। আমরা শিক্ষিত একটা অর্থনীতি আমাদের দেশের আমরা ২০৪১ সালের ভিতর একটা উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে। আমাদের অর্থনীতিবিশে^ ২৫তম অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।এটা গৌরবের বিষয় এবং আমরা শেখ হাসিনাকে আমরা শুধু না আগামী প্রজন্ম তাকে স্মরণ করবে। তিনি বলেছেন আমি দেশের জন্য এত কিছু করেছি দেশের মানুষ আমার জন্য কি করে তিনি একটু দেখতে চান। তাই আসুন আগামী নির্বাচনে তাকে একচ্ছত্রভাবে বিজয়ী করেআবার দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দেই। তার মতো মহান নেতা এবং সুশাসক বিশ্বে বিরল।তিনি একদিকে সৎ, একদিকে মানবিক এবং সব থেকে বড় কথা হচ্ছে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী আমার মনে হয় দেশ সম্পর্কে এমনকি টেকনিক্যাল বিষয় সম্পর্কে তিনি একজন বাংলা ভাষার ছাত্রী হয়েও তিনি সাইন্টিফিক প্রবলেম গুলিযেভাবে একের পর এক সমাধান করে যাচ্ছেন, যেভাবে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, যেভাবে তথ্য-প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এটা অস্বাভাবিক ঘটনা বলে আমার কাছে মনে হয়। তিনি এমন মেধা এবং প্রজ্ঞা নিয়ে আল্লাহ তাকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন তার মৃত্যুর পর বাংলার মানুষ তাকে শতবছর মনে রাখবে। তিনি দীর্ঘায়ু হোন তার কীর্তি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।